ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকার বাইরে সাত জেলায় দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গু

ঢাকার বাইরে সাত জেলায় দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গু

রাজধানীতে ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ঢাকার বাইরে এবার ডেঙ্গুর বাহক এডিসের ভয়াবহ দাপট দেখা গেছে সাত জেলায়। এর মধ্যে পটুয়াখালী ও পিরোজপুরের ৭০ শতাংশ বাড়িতেই এডিস মশা পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের ন্যাশনাল ম্যালেরিয়া এলিমিনেশন অ্যান্ড এডিস ট্রান্সমিটেড ডিজিস কন্ট্রোল প্রোগ্রামের এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অধিদপ্তর বলেছে, জরিপে দেশের যে সাত জেলায় এডিস মশার দাপট দেখা যাচ্ছে সেগুলো হলো- রাজশাহী, যশোর, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও সিলেট।

জরিপের তথ্য বলছে, রাজশাহী নগরীতে এডিসের লার্ভার গড় ঘনত্ব (ব্রুটো ইনডেক্স) ৪৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। যশোর পৌরসভায় এডিসের লার্ভার ঘনত্ব ৮০ শতাংশ, যা ঢাকার চেয়ে বেশি। বরিশাল বিভাগে পটুয়াখালী জেলার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। এখানে ৭০ শতাংশ বাড়িতেই এডিস মশার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এডিসের লার্ভার ঘনত্ব ৯৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার বিস্তার ঘটেছে। এডিসের লার্ভার ঘনত্ব ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ। সিলেট নগরীর ৪০ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার বিস্তার দেখা গেছে। এডিসের লার্ভার ঘনত্ব ৪০ শতাংশ। রাঙামাটিতেও পৌঁছে গেছে এডিস মশা। এই জেলার ২২ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশা পাওয়া গেছে। এডিসের লার্ভার ঘনত্ব ৩৫ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এডিস মশা আগের তুলনায় এখন অনেক ‘স্মার্ট’ হয়েছে। তার ধরন পাল্টেছে। এ অবস্থায় দায়িত্বশীলদের ‘লোক দেখানো’ অভিযান পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তুলতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা অন্যতম একটি ওয়ার্ড হলো বাড্ডা এলাকা। সরেজমিন পূর্ব বাড্ডা, উত্তর বাড্ডা ও মেরুল বাড্ডা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন অলিগলির রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে আছে। এলাকাগুলোতে বসবাসরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একদিন বৃষ্টি হলে এক সপ্তাহেও রাস্তাঘাটের পানি সরে না। এমনকি গত দুই মাসে এসব এলাকায় এডিস মশার নিধনে সিটি কর্পোরেশনের কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি। সরেজমিন ডিআইটি প্রজেক্টের খেলার মাঠ, বাগানবাড়ী, কৃষি ব্যাংক রোডসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তাঘাটে তিন থেকে চার দিনের পানিও জমে আছে। এছাড়া বাসাবাড়ির পাশে বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পানি জমে আছে। এগুলোতে কোনো নজর নেই সিটি কর্পোরেশনের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত