ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভারতের সুপ্রিমকোর্ট

আদালতের নথিতে লিঙ্গবৈষম্যমূলক শব্দ নিষিদ্ধ

আদালতের নথিতে লিঙ্গবৈষম্যমূলক শব্দ নিষিদ্ধ

ভারতে সুপ্রিমকোর্ট বিচারব্যবস্থায় লিঙ্গ সচেতনতা গড়ে তুলতে চায়। সে লক্ষ্য নিয়েই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ‘হ্যান্ডবুক অন কমব্যাটিং জেন্ডার স্টিরিওটাইপস’ শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশ করেছেন। আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি এবং রায়ের কপিতে কোনো কোনো শব্দ লেখা যাবে না, তা বলে দেওয়া হয়েছে এতে। সব মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪০টির বেশি শব্দের তালিকা। ইন্ডিয়া টুডে জানায়, এ তালিকায় রয়েছে ‘প্রস্টিটিউট’, ‘লেডিলাইক’, ‘কেরিয়ার উইম্যান’, ‘ইভ টিজিং’ এর মতো শব্দ। বৈষম্যমূলক এসব শব্দের বিকল্প শব্দও বলে দেওয়া হয়েছে পুস্তিকায় (হ্যান্ডবুক)।

যেমন ‘পতিতা’ শব্দটি ব্যবহার করা যাবে না। লিখতে বা বলতে হবে ‘সেক্স ওয়ার্কার’ বা ‘যৌনকর্মী। ‘হাউজওয়াইফ’ এর বদলে ‘হোমমেকার’ ব্যবহার করতে হবে। তালিকা অনুযায়ী ‘অ্যাফেয়ার’ কথাটিও লেখা বা বলা যাবে না। পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে ‘রিলেশনশিপ আউটসাইড অফ ম্যারেজ’। একইভাবে ‘ইভটিজিং’ শব্দের পরিবর্তে লিখতে হবে ‘স্ট্রিট সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট’ বা ‘পথে যৌন হেনস্থা’। ‘আনওয়েড মাদার’ বা ‘অবিবাহিত মা’ লেখা বা বলা যাবে না। এক্ষেত্রে শুধু ‘মা’ কথাটিই ব্যবহার করতে হবে। বলা হয়েছে, এখন থেকে এমন বিকল্প শব্দগুলোই ব্যবহার করতে হবে এবং এর ব্যবহারও বাড়াতে হবে। ‘কর্তব্যপরায়ণ স্ত্রী’ এবং ‘আজ্ঞাবহ স্ত্রী’ এর মতো শব্দগুলো উচ্চারণ এড়িয়ে চলা উচিত বলে পুস্তিকায় উল্লেখ করা হয়। সেইসঙ্গে ধর্ষণের ক্ষেত্রেও নারীদের সম্পর্কে কোনো অসম্মানজনক উক্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, এই বদলের উদ্দেশ্য লিঙ্গ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা। যাতে আগামী দিনে আদালতের দেওয়া বিভিন্ন রায়ে এর প্রতিফলন ঘটে। লিঙ্গ সম্পর্কিত গতানুগতিকতা ভাঙতেই এমন উদ্যোগ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত