বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া তারেক রহমানকে বাংলাদেশের জনগণ নেতা বানাবে না। দুর্নীতিবাজ অর্থ পাচারকারী দণ্ডিতকে কীভাবে তারা নেতা বানাবে? এ দেশ পাকিস্তানের বন্ধুদের জন্য নয়, এ দেশ সাম্প্রদায়িকদের জন্য নয়, এ দেশ অর্থ পাচারকারীদের নয়।
গতকাল বিকালে তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী সাংগঠনিক জেলাসমূহের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী কঠিন ঐক্য নিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী, সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে হবে। আজকে বিএনপির মির্জা ফখরুল গণতন্ত্রের কথা বলেন, সেই দিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? ২০০১ সালে অস্বাভাবিক সরকার গদিতে বসেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী উপর অত্যাচার শুরু করেছিল। বিএনপির অত্যাচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি। আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে বিএনপি। যারা ভুয়া ভোটার তৈরি, ভোট চুরি, সন্ত্রাস করে ক্ষমতা দখল করে করেছিল তাদের কাছে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কি সবক নিবে?
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব, আপনি এখন বলেন, সরকারি দল নাটক সাজিয়েছে। তখন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল, শেখ হাসিনাকে কে মারতে যাবে? উনি ভ্যানেটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। নাটক তো আপনারা করেছিলেন। জজ মিয়ার নাটক। সন্ত্রাসীদের জন্য বিএনপির চোখের জল ঝরে। বিএনপির অত্যাচার নিপিড়নে আওয়ামী লীগের চোখের পানি শুকিয়ে গিয়েছিল। কাঁদতে কাঁদতে আমাদের চোখের পানি শেষ হয়েছে গেছে।
তিনি বলেন, যে হাত আগুন নিয়ে আসবে সে হাত পুড়িয়ে দিব। যে হাত লাঠিসোঁটা নিয়ে আসবে সে হাত ভেঙে দেব। যেমন কুকুর তেমন মুগুর। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগের চেতনায় বাংলাদেশ, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ। শুধু একটি নির্বাচনী নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই করে বাঁচতে হবে। ৭৫ এর পর এদেশের সবচেয়ে বড় অর্জনের নাম শেখ হাসিনা, তার নেতৃত্বেই সকল উন্নয়ন-অর্জন। এ দেশের ইতিহাসের পাতায় দুটি নাম অমর বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা। পঁচাত্তরের পর যে লড়াই করেছি তা ছিলো অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ।
এছাড়াও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।