ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আসছে নতুন নতুন চমক

মহাপ্রকল্পে মহাস্বপ্ন দেখছে জাতি

মহাপ্রকল্পে মহাস্বপ্ন দেখছে জাতি

জনদুর্ভোগ কমিয়ে আনতে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও প্রস্থ সড়ক করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের অগ্রগতি ধরে রাখতে আগারগাঁও ও পূর্বাচলে বিশাল উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই বড় বড় বেশকিছু প্রকল্প উদ্বোধন করবে। এতে দেশের মানুষ খুব শিগগিরই মেগা প্রকল্পগুলোর শতভাগ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন উদ্বোধনে সরকার আগের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ এখানে নির্বাচনের প্রভাব থাকাটা স্বাভাবিক। সরকার তো তাদের বড় বড় কাজগুলো জনগণকে দেখাতে চাইবে। বড় বড় প্রকল্প এগিয়ে গেলে এটা সরকারের অর্জনের পালকে যুক্ত হয়। নির্বাচনি প্রচারণায় কাজে লাগে। এতে জনগণ আগেভাগেই প্রকল্পগুলোর সুবিধা পাবে।

স্বপ্নের মেট্রোরেল: মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়। এটি বাস্তব হয়েছে। এরইমধ্যে আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত মানুষ মেট্রোরেলের সুবিধা ভোগ করছে। মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ট্রেনের পরীক্ষামূলক যাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শুরুতে ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল এই ৩ স্টেশন চালু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্টোবরে আগারগাঁও-মতিঝিল মেট্রোরেল চলাচলে উদ্বোধন করবেন। এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নতুন যুগের সূচনা হওয়ায় তীব্র যানজটের শহর ঢাকার বাসিন্দারা স্বস্তি পাচ্ছে। কমলাপুর পর্যন্ত চালু হতে সময় লাগবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। মেট্রোরেলের মোট স্টেশন ১৭টি। এগুলো হলো উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল এবং কমলাপুর।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ: বন্যার কারণে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের প্রায় এক কিলোমিটার অংশের কিছু পাথর ও মাটি সরে গেছে। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রেললাইন ঠিক করে ফেলা হবে। সেজন্য আগামী অক্টোবরের মধ্যেই কক্সবাজারের রেলপথ উদ্বোধন করা হবে। এ বিষয়ে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, এই ক্ষতি আমাদের উদ্বোধনের সময়সূচিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কাজ এক মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ: রেলের আরেকটি বড় প্রকল্প হলো পদ্মা সেতু রেল সংযোগ। এটি চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ তৈরি হবে। নির্বাচন সামনে রেখে আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকল্পটি উদ্বোধনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়ার কাজও সম্পন্ন। পদ্মা সেতু রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৯৭ শতাংশ। আর ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৮১ শতাংশ। তবে ভাঙ্গা-যশোর পর্যন্ত অংশের অগ্রগতি ৭৯ শতাংশ। এই অংশের উদ্বোধন হবে ২০২৪ সালের জুনে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। নতুন উদ্যমে কাজ করতে একই সঙ্গে কাজ করছে প্রায় চার হাজার শ্রমিক। পুরোপুরি রেললাইনের ওপরে হওয়ায় এ প্রকল্পের জনদুর্ভোগ তুলনামূলক কম। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ঢাকার যানজট নিরসনে এটিই সবচেয়ে বড় প্রকল্প। আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করা হবে। দেশের প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে তৈরি এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। রাজধানীর কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপ খুলে দেওয়া হলে যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছে নগরবাসী। এরই মধ্যে এই অংশের নির্মাণকাজ ৯৮ শতাংশ শেষ হয়েছে।

জানা গেছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ কমবে। মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‌্যাম্প রয়েছে। র‌্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজীকরণ ও আধুনিকায়নের পাশাপাশি এ প্রকল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র: আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করা হবে। ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার বা ১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে পাবনার রূপপুরে। সেখানে দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এই নির্মাণ ব্যয়ের ১০ শতাংশের অর্থায়ন করছে সরকার, বাকি ৯০ শতাংশ রাশিয়া ঋণ হিসাবে দিচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ হবে ৬০ বছর। বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ভাবনা ১৯৬১ সালে শুরু হলেও ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের আলোচনা গতি পায়। ২০১৩ সালের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দুই দেশের সরকারের ফলপ্রসূ আলোচনার পর নিশ্চিত হওয়া যায়, রুশ সহযোগিতায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। ওই বছরের অক্টোবরেই পাবনার ঈশ্বরদীতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। রাশিয়ার সহায়তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুকেন্দ্রটি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট থাকবে। এর প্রথমটি সেপ্টেম্বরে উৎপাদন শুরু করবে। আগামী বছর উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে দ্বিতীয় ইউনিটের। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ৪০ শতাংশ নিশ্চিতে গবেষণায় গুরুত্ব দেবে সরকার। কপ ২৬’ জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দেন ২০৪১ সালের মধ্যেই ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøলাদিমির পুতিন।

বঙ্গবন্ধু টানেল: কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি হয় গত বছর নভেম্বরে। চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পকাজ ৯৭ দশমিক ২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে খুলছে টানেলের দ্বার।

প্রকল্পের নথিতে বলা হয়েছে, মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। তবে সংযোগ সড়কসহ টানেলের সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। নদীর নিচে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮০ মিটার ব্যাসের দুটি টিউব। প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টানেলে টিউব দুটি থাকলেও সংযোগ পথ আছে তিনটি। এরমধ্যে একটি বিকল্প পথ হিসেবে প্রথম দুটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে। দুই সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রথম সংযোগ পথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ১৪ মিটার। দ্বিতীয় বা মধ্যবর্তী সংযোগ পথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৩৪ মিটার। শেষটির দৈর্ঘ্য ১০ দশমিক ৭৪ মিটার। প্রতিটির ব্যাস গড়ে সাড়ে চার মিটার। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩৬ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। নদীর মাঝ পয়েন্টে এই গভীরতা প্রায় ১৫০ ফুট। প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্থ ও ১৬ ফুট উচ্চতার। চট্টগ্রামে পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে টানেলটি নদীর তলদেশ হয়ে চলে গেছে আনোয়ারার চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মাঝামাঝি স্থানে। টানেল চালুর পর বছরে ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করতে পারবে। দিনে চলতে পারবে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি। ২০২৫ সাল নাগাদ টানেল দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে, যার মধ্যে অর্ধেক থাকবে পণ্যবাহী যানবাহন। ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতিদিন গড়ে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সাল নাগাদ ১ লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে।

: চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নগরীর লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর বা পতেঙ্গা সৈকত পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে নগরীর সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হবে কর্ণফুলী টানেলের সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে। ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই উড়াল সড়কের মোট নির্মাণ ব্যয় ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ পুরো ১৬ কিলোমিটার উড়াল সড়ক উদ্বোধন করে একসঙ্গে খুলে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে অর্থনীতিতে সরাসরি তিন ধরনের সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে ওই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তার লাভ করেছে। বিনিয়োগ বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, কৃষক সরাসরি উপকৃত হয়েছে। তাদের উৎপাদিত পচনশীল পণ্য সরাসরি ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে পাঠাতে পারছেন। এতে পণ্যের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। তৃতীয়ত, পদ্মা সেতুর ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তার লাভ করেছে। আগামীতে যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে, এর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো চাঙা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত