ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খালেদার ‘দেশনেত্রী’ উপাধিকে চ্যালেঞ্জ করলেন শেখ পরশ

খালেদার ‘দেশনেত্রী’ উপাধিকে চ্যালেঞ্জ করলেন শেখ পরশ

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ১৫ আগস্টে আপনি কীভাবে জন্মদিন পালন করেন? আপনি নাকি দেশনেত্রী। আওয়ামী লীগ এ দেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল, এদেশের জনগোষ্ঠীর একটি বৃহৎ অংশ বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে, নেতা মানে। তাহলে আপনি কীভাবে সেই জনগোষ্ঠীকে অবহেলা, উপেক্ষা করে জন্মদিন পালন করেন? আপনি তো শিশু রাসেলকে দেখেছেন, কোলে নিয়েছেন তাহলে কীভাবে পারেন? আমি আপনার দেশনেত্রী উপাধিকে চ্যালেঞ্জ করছি। খালেদা জিয়া দেশনেত্রী তো দূরের কথা ‘নেত্রী’ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। গতকাল বিকালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভবনের অডিটোরিয়ামে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে ‘১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টে শহীদদের স্মরণে’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কালজয়ী মহানায়কদের অনেকেই রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এ সব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে একাধিক কারণে সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ড। এটি শুধু একটা রাজনৈতিক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটি ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে জন্মের পরেই গলাটিপে হত্যা করা, নবজাতক দেশকে শিকলে বেঁধে ফেলা এবং নব্য উদ্ভাসিত জাতিসত্তার পরিচয় মুছে ফেলা। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। কারণ এ হত্যাকাণ্ডের নির্বিচারে শিকার হয়েছিল এমন একটি পরিবার যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল। আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, শেখ আবু নাসের, শেখ ফজলুল হক মণি, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শহীদ সেরনিয়াবাত এরা সবাই প্রকৃত দেশপ্রেমী মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেকেই মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি হিংসার রাজনীতি করে, বাংলা ভাইয়ের মতো জঙ্গি সৃষ্টি করে, বোমাবাজির রাজনীতি করে, হত্যার রাজনীতি করে, লাশের রাজনীতি করে। বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল, যারা পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এবং একটা এলিট শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য। আজকে বাংলার যুব সমাজ বিএনপির রাজনীতি এদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত