রামুতে ড. হাছান মাহমুদ

জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করছে

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক। তারা জঙ্গিদের পক্ষে কথা বলছে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি অপরাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপরাজনীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনতে হবে। শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হলে, বদলে যাওয়া দেশে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। তিনি আবারও কক্সবাজার-৩ আসনে সাইমুম সরওয়ার কমলকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। রামুতে বঙ্গবন্ধুর শোক সভায় টেলিকনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার দুপুরে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল, শোক সভা, মেজবান ও গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন পরিষদ, রামুর উদ্যোগে এ শোক সভা ও মেজবান আয়োজন করা হয়। এর আগে সকাল ৮টায় থেকে কোরআন খতম ও মিলাদ মাহফিল এবং দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় মেজবান। মেজবানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জন্য ১০০ ছাগল ও ৫০টি গরুর আয়োজন করা হয়। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে স্লোগান শিখিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে, বাঙালিরা একাত্তরে অস্ত্র ধরে ছিল, দেশ স্বাধীন করে ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে ছিলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনঃগঠিত করে, সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই বাঙালির স্বাধীনতাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য, স্বাধীনতার পরাজিতরা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। তাদের নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়ে ছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার যেন না হয়, তার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে, হত্যাকাণ্ডের বিচার চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে আইন প্রণয়ন করে ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইছালে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে আয়োজিত শোক সভা ও বৃহত্তর মেজবানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন, জাতীয় শোক দিবস উদযাপন পরিষদ, রামুর প্রধান উপদেষ্টা সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের জাতিগত পরিচয়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান, জীবন, কর্ম ও দর্শনকে এ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন ও চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই রামুতে প্রতি বছর মেজবান ও শোকসভা আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা খুনিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল গণির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় স্বাগত বক্তৃতা রাখেন, উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ফরিদুল আলম। শুভেচ্ছা বক্তৃতা রাখেন, উদযাপন পরিষদের মহাসচিব ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূট্টো। শোক সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, জেলা জজ কোর্টের পিপি ফরিদুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষযক সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য সচিব অ্যাড. একরামুল হুদা, গর্জনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ফরিদ আহমদ চৌধুরী, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামশুল আলম, চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ ঈসমাইল নোমান, রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান, প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন, আনছারুল হক ভূট্টো, ছৈয়দ মোহাম্মদ আবদুস শুক্কুর।