আসতে পারে ‘সিদ্ধান্ত’

ঢাবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ৭ কলেজের বৈঠক কাল

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি ও চলমান আন্দোলন নিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সাত কলেজের অধ্যক্ষ ও ঢাবি কর্তৃপক্ষের এ বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দাবির ব্যাপারে ‘সিদ্ধান্ত’ গ্রহণ করা হতে পারে। ইডেন মহিলা কলেজের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুফিয়া আক্তার এ তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল দুপুরে নীলক্ষেত মোড়ে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় শিক্ষার্থীরাও তাদের দাবিতে অনড় বলে জানান। বৈঠক ও সিদ্ধান্তের তথ্য নিশ্চিত করে শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুফিয়া আক্তার বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বুঝিয়ে তাদের আন্দোলন শিথিল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। কেন না, আন্দোলনের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবাইকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অথচ শিক্ষার্থীরা তো বিষয়গুলো মানছে না। তারা তাদের আন্দোলনে অনড়। এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা রুলস, একটা পলিসি। এটা তো হুট করে পরিবর্তন করা যায় না। তাদের তো এটা বুঝতে হবে। এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে সমন্বয়ক সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মকলেছুর রহমান রবিন বলেন, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আমাদের বারবার মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়। এর আগেও চারবার তারা আমাদের এমন মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা নতুন করে আর কোনো মিথ্যা আশ্বাস শুনতে রাজি নই। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাব। আন্দোলনে কাফনের কাপড় নিয়ে এসেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সে কাপড় জড়িয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। মকলেছুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেছেন, দাবি মেনে আমাদের প্রমোশন দিতে হবে। না দিলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়েছি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে জড়ো হয়ে এসে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় নীলক্ষেত এলাকার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর ভোগান্তি পোহাতে হয় হাজারো সাধারণ মানুষকে। জানা গেছে, আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছাত্ররা বলেছেন, দীর্ঘ ৯ মাস পর ফল প্রকাশের কারণে, সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়নের মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন দিতে হবে।’