ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার জন্য

প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার জন্য

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সম্প্রতি ড. ইউনূসের পক্ষে ৩৪ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বুদ্ধি লোপ নাকি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের ঠকানোর জন্য তারা বিবৃতিটা দিয়েছেন- সেটিই প্রশ্ন। তিনি গতকাল বিকালে রাজধানীর পান্থপথে সামারাই কনভেনশন সেন্টারে টেলিভিশন ক্যামেরা-জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (টিসিএ) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে এ কথা বলেন। পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ৩৪ জন বুদ্ধিজীবীর বিবৃতি দেখলাম ড. ইউনূস সাহেবের পক্ষে। ড. ইউনুস সাহেবের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, কেননা তিনি একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক এবং নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দেননি। তার প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল ৫ শতাংশ, যা ১২০০ কোটি টাকার বেশি। সেই ১২০০ কোটি টাকাকে জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে ৪০০ কোটি টাকা করা হয় এবং সেটাও তিনি দেননি। এ জন্য মামলা হয়েছে, তারপর জরিমানা হয়েছে। এখন মামলা বিচারাধীন। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে ৩৪ জন বুদ্ধিজীবীকে বলতে চাই আপনারা যে বিবৃতি দিলেন, শ্রমিকদের পক্ষে আপনাদের কোনো বক্তব্য নেই কেন? ১২০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের পাওনা ছিল সেই পাওনা না দিয়ে সেটা জালিয়াতির মাধ্যমে কমিয়ে ৪০০ কোটি টাকা করা হলো আর আপনারা সেটার পক্ষে বিবৃতি দিলেন! আপনাদের বুদ্ধিটা কি এখানে লোপ পেয়েছে, না কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের ঠকানোর জন্য বিবৃতিটা দিয়েছেন- এটি হচ্ছে আমার প্রশ্ন। এ সময় টিভি ক্যামেরা-জার্নালিস্টদের উদ্দেশে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে টেলিভিশনের প্রাণ হচ্ছে ক্যামেরা সাংবাদিকরা। তারা যদি শ্যুট না করে, তাহলে তো টেলিভিশনে নিউজ যাবে না, সেটা নিউজের শুটিং হোক কিম্বা প্রোগ্রামের শুটিং। তারা শ্যুট না করলে প্রযোজক, পরিচালক, নিউজ এডিটর, নিউজ কাস্টারদের কোনো কাজ নেই। হাছান মাহমুদ বলেন, ক্যামেরা সাংবাদিকদের কষ্ট করে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। অনেক সময় অনেকে তেড়ে আসে, ক্যামেরা ভেঙে দেয়। অনেক ক্যামেরা সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হন। এসব ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজটা করেন। এ জন্য তথ্যমন্ত্রী হিসেবে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এই ক্যামেরা সাংবাদিকরা যাতে ঠিকভাবে বেতন পায়, সেদিকে নজর দেওয়া ও তাদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সার্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আনার জন্য সব টেলিভিশন চ্যানেলের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত