আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দিয়ে তাদের পুনর্বাসিত করেছিলেন। খুনিরা হত্যা করার পরপরই এ দেশ থেকে চলে যায়। গতকাল বিকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলীয় কার্যালয় চত্বরে শোক ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জিয়ার অপশাসনের প্রথম ধাপ ছিল, খুনিদের দায়মুক্তি দেয়া এবং জাতির পিতার হত্যার বিচার করা যাবে না। এছাড়া জিয়ার আমলে সেনা ছাউনিতে অসন্তোষ দেখা দেয়ায় সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর হাজার হাজার জোয়ানসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসংখ্য মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। অথচ আজ তারা গণতন্ত্রের কথা বলে। জিয়াউর রহমান যিনি হা না ভোটের প্রবর্তক। তার পুলিশ বাহিনী দিয়ে হা বাক্সে ভোট নিয়েছে। কেউ না বাক্সে ভোট দিতে পারেনি।
মেয়র লিটন বলেন, আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে দেশ স্বাধীন হয়নি। এজন্য তাদের প্রেসক্রিপশনে আমরা চলব না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার সব কলকাঠি নেড়েছিল এবং সেইসঙ্গে ছিল মার্কিন ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ঠেকাতে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসানের সভাপতিত্বে শোক ও স্মরণ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা এমপি, অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, তানভীর শাকিল জয় এমপি, ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম প্রমুখ।
