ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ লাখো শিক্ষার্থীর মিলনমেলা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ লাখো শিক্ষার্থীর মিলনমেলা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে আজকের ছাত্র সমাবেশে ৫ লাখ শিক্ষার্থীর মহা মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ। গতকাল দুপুরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ছাত্র সমাবেশের প্রস্তুতির কাজ পরিদর্শন শেষে ছাত্রলীগের র্শীর্ষ নেতারা এ তথ্য জানান।

এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, সারাদেশের ছাত্র সমাজ, তরুণ সমাজ, নতুন প্রজন্ম একটি সুরে, একটি নামে ঐক্যবদ্ধ। উন্নত, আধুনিক, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা দিনবদলের কথা দিয়ে এ দেশে লাখো কোটি মানুষের দিনবদল করেছেন। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটা তিনি করেছেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন বলেন, সব প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে, যারা প্রগতিশীল রাজনীতি চর্চা করে- এমন সংগঠনকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি। যারা যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে সাফাই করেছে, রাজাকারের পক্ষে সাফাই করেছে এবং সামরিক স্বৈরশাসকের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে, তাদের ছাড়া সব ছাত্র সংগঠনকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। আমরা স্মরণকালের বৃহৎ ছাত্রসমাবেশ করতে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বলিয়ান থাকবো, জাতির পিতার আদর্শ বলিয়ান থাকবো। একই সঙ্গে খুনিদের সঙ্গে, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করার জায়গা বাংলাদেশ ছাত্রলীগে নেই। শেখ হাসিনার প্রতি এদেশে ৫ কোটি শিক্ষার্থীর যে গভীর ভালোবাসা রয়েছে, শিক্ষার্থীর হৃদয়ে যে ভালোবাসা রয়েছে, তার বহিঃপ্রকাশ করতেই এই সমাবেশ। এটি শুধুমাত্র ছাত্রলীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এই ছাত্রসমাবেশের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের আগমনী যে রায়, সেটি প্রকাশ করতে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ এখন দলীয় বিষয় নয়, বাংলাদেশ তরুণ প্রজন্মের কমন ড্রিমে পরিণত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা আজকেও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে, গণতন্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ থেকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পথ খোলা রেখে তারুণ্যের মাধ্যমে একটি আধুনিক-স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছি। শুধু ছাত্রলীগের ৫ লাখ কর্মী অংশগ্রহণ ছাড়াও কয়েক লাখ সাধারণ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে স্মরণকালের ছাত্রসমাবেশ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ছাত্র সমাবেশে আমরা প্রত্যাশা করছি সারা দেশ থেকে ৫ লাখ শিক্ষার্থীর মহা মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হব। সারাদেশের ছাত্রসমাজ, তরুণ সমাজ, নতুন প্রজন্ম একটি সুরে একটি নামে ঐক্যবদ্ধ। উন্নত, আধুনিক, স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প তাদের সামনে নেই। শেখ হাসিনা দিনবদলের কথা দিয়ে এ দেশে লাখো কোটি মানুষের দিনবদল করেছেন। শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেনম সেটা তিনি করেছেন।

তিনি বলেন, আজকের তরুণ সমাজ প্রবলভাবে আস্থা রাখে, প্রবলভাবে বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনা অতীতের যে স্বপ্ন দেখিয়েছে সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। আগামী নির্বাচনে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। ছাত্রসমাজ আজ এক ও ঐক্যবদ্ধ। ছাত্রসমাবেশে লাখো লাখো ছাত্রের উপস্থিতির মধ্যদিয়ে সারা বিশ্বে একটি বার্তা পৌঁছে দেব, তরুণ সমাজ জাতির পিতার কন্যার সাঙ্গে ছিল, জাতির পিতার কন্যার সঙ্গে আছেন। ছাত্রলীগের এই সমাবেশের মাধ্যমে লাখো তরুণদের সঙ্গে নিয়ে শপথ নিতে চাই, এদেশের অপশক্তি ও অপতৎপরতাকে রুখে দিতে তরুণ সমাজ প্রস্তুত রয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত