ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে কাপ্তাই হ্রদে

প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে কাপ্তাই হ্রদে

দীর্ঘ ৪ মাস ১২ দিন পর কাপ্তাই হ্রদে ফের মাছ আহরণ শুরু হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে হ্রদে মাছ ধরা শুরু হলেও গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে জেলে ও ব্যবসায়ীরা মাছ আনতে শুরু করেন বিপণনকেন্দ্রে। প্রায় সাড়ে ৪ মাসের বিরতির পর আবারও কাজে ফিরেছেন জেলে-শ্রমিকরা। ব্যবসায়ীদের মাঝেও দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস। চলতি মৌসুমের প্রথম দিনেই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ আনা হয় কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রের অবতরণ ঘাটে। রাঙামাটির শহরের প্রধানকেন্দ্র ছাড়াও কাপ্তাই এবং মারিশ্যা অবতরণ কেন্দ্রেও শুরু হয়েছে মাছ অবতরণ ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া। অবতরণকেন্দ্রে মাছের ওজন মাপার পর শুল্ক আদায় শেষে এসব মাছ বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে। বেশিরভাগ মাছ নেওয়া হচ্ছে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে। এদিকে, জেলে-ব্যবসায়ী ছাড়াও মাছ অবতরণ শুরু হওয়ায় কাজে ফিরতে ফেরেছেন মাছ পরিবহন ও বরফকলসহ সংশ্লিষ্ট কাজে কর্মরত শ্রমিকরা। কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে জেলেরা ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য পেলেও এর আওতায় আসেন না শ্রমিকরা। অনেকেই দীর্ঘ ৪ মাসের বেকারত্ব কাটিয়ে ফিরেছেন পেশায়। অন্যদিকে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) নিজস্ব বরফকলগুলো ছাড়াও বেসরকারি বরফ কলগুলোও চালু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রের অবতরণ ঘাটের পল্টুনে সরেজমিন দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলেরা মাছ নিয়ে আসছেন। ব্যবসায়ী নিজেরা তালিকাভুক্ত জেলেদের কাছ থেকে মাছ বুঝে নিচ্ছেন। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর প্রথম দিনেই মাছ পাওয়া যাচ্ছে কিছুটা কম। কেচকি চাপিলা মাছের আকারও অনেকাংশে ছোট। কেউ কেউ প্রথম দিকেই মাছ কম পাওয়ায় বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন। বলছেন, প্রথম দিকে মাত্রাতিরিক্ত মাছ পাওয়া গেলে মৌসুম শেষে পাওয়া যায় না। চলতি মৌসুমের শেষদিক পর্যন্তও মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাঙামাটি জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া

বলেন, গতকাল প্রথমদিন কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হয়েছে। হ্রদের মাছের অবস্থা খুবই ভালো। এই পরিস্থিতি বজায় থাকলে আমরা আশাবাদী জেলে ও ব্যবসায়ী সবাই লাভবান হবেন। কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, কাপ্তাই হ্রদের সম্পদ জেলেদেরই। আমি তাদের অনুরোধ করতে চাই, আমাদের সহযোগিতা নিয়ে আপনাদেরই (জেলে) কাপ্তাই হ্রদের সম্পদ সংরক্ষণ ও ভবিষ্যতের জন্য রেখে যেতে হবে। মাত্রাতিরিক্তভাবে যদি আমরা মাছ আহরণ শুরু করি, তাহলে কাপ্তাই হ্রদের মাছের প্রজাতি সংরক্ষণ কঠিন হবে। তাই আমরা বলব আপনারা নিয়ম মেনেই মাছ আহরণ করুন, যার সুফল ভবিষ্যতে ভোগ করবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত