ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী সিলেকশন বোর্ডে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে

দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। গতকাল নৌবাহিনী প্রধানের সচিবালয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী সিলেকশন বোর্ড-২০২৩ এ ভাষণ দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, বরং শান্তিতে থাকতে চাই। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। জনগণের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির স্বার্থে বাংলাদেশ সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। যেহেতু আমরা জাতির পিতার দেয়া নীতি অনুসরণ করছি, তাই আমরা সবার সঙ্গে সমানভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছি। কারণ আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করা।

দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার সফলভাবে দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধন করছে। জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবো না। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব। তার সরকার সফলভাবে এই ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’- পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা নৈতিকতা, ব্যবহারিক দিক সম্পর্কে জ্ঞান, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দায়িত্ববোধ ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য বাছাইয়ে বিচক্ষণ ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করার জন্য নির্বাচন বোর্ডকে নির্দেশ দেন। তিনি আরো বলেন, নেতৃত্বের পদের জন্য আপনাদের এমন কর্মকর্তা বেছে নেয়া উচিত- যারা যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শী এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে তাদের বিচক্ষণতা প্রয়োগের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম। প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, প্রতিটি দুর্যোগে তারা সবসময় জনগণের পাশে থাকে। আপনারা জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সফলভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন এবং বিশ্ব মঞ্চে এর মর্যাদা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করেছি। শুধু তাই নয়, সারা বিশ্বের সামনে বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল ভাবমূর্তিও তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হতে সক্ষম হয়েছে।

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত