ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আজ শেখ হাসিনা-মোদি বৈঠক

সই হতে পারে তিনটি সমঝোতা স্মারক

আলোচনায় থাকছে তিস্তা ইস্যু
সই হতে পারে তিনটি সমঝোতা স্মারক

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। জানা গেছে, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে বসবে জি-২০ সম্মেলন। জি-২০ এর সদস্য না হওয়ায় শেখ হাসিনা অতিথি হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই সফরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে বহুল আলোচিত ইস্যু তিস্তা এবং অন্যান্য নদীর নায্য পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হতে পারে। ভারতীয় মুদ্রায় জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধ, খাদ্য পণ্যের আমদানিতে কোটা নির্ধারণ, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) অর্থায়নের প্রকল্পে শর্ত জটিলতা নিরসন প্রসঙ্গে আলোচনা হতে পারে। জি-২০ সম্মেলনের নৈশভোজে অংশ নেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুর আমন্ত্রণে সেখানে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতার বৈঠক হতে পারে। একই সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর টাকা-রূপিতে লেনদেন সুগম করা, কৃষি খাতে গবেষণা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। দুই নিকট-প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার বৈঠকে বিদ্যুৎ ও রেলপথের একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের প্রধানের আলোচনায় ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের সোনালি অধ্যায়ে আরো একটি মাত্রা যুক্ত করবে।

দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে অতিথি রাষ্ট্র বাংলাদেশ দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে। সম্মেলনে যোগ দিতে শেখ হাসিনা ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন আজ বিকালে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে বসবেন। দুই পক্ষ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবে। তবে সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে বৃহত্তর সম্পর্কের পুরো ধারাটি আলোচনায় নাও আসতে পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সব সময়ই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে। আমরা এটাকে সবসময় আলোচনার সূচিতে রাখতাম। এবারও আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলবেন।

বাংলাদেশ মনে করে দুই দেশের পানি বণ্টন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। কারণ দুই দেশ পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে কাজ করতে মানসিকভাবে একমত। গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হবে উল্লেখ করে রোববার মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাছে তিস্তার পানি বণ্টনের ইস্যু আছে যা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী উত্থাপন করবেন। আমাদের অন্যান্য সমস্যা আছে। আমাদের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে কানেক্টিভিটি, তিস্তার পানি বণ্টন, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচনায় অগ্রাধিকার বিষয় হতে পারে। দুই দেশ একসঙ্গে অনেক প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত এবং তাদের বাস্তবায়নের সমস্যা আসতে পারে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় উভয় নেতা নদী দূষণের মতো সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে এবং অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ এবং নদীর নাব্য বৃদ্ধি করার জন্য কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত