ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এমন স্প্রে করতে পারব না যাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়

বললেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
এমন স্প্রে করতে পারব না যাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়

বিশ্বে যত মশা মরার কার্যকর ওষুধ আছে, সেগুলোই বাংলাদেশে প্রয়োগ করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে যত মশা মরার কার্যকর ওষুধ আছে, সেগুলো আমরা স্প্রে করি। আর এমন কীটনাশক স্প্রে করতে পারব না, যাতে মশা মারতে গিয়ে মানুষ মরে যায়। আমি যদি বাতাসেই মশা মেরে দেই, তাতে সব কীট-পতঙ্গ মরে যাবে। তাতে মানুষের ক্ষতি হবে। আমরা তো এটি করতে পারি না। হয়তো এমন স্প্রে করে দিতে পারব যে, সারা বছর আর মশা আসবে না, কিন্তু মানুষ মরে যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের সীমাবদ্ধ রয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকরা স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি নেই। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন মশক নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম ঠিকমতো হয় না। ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি এমন প্রশ্ন তুলেছেন কি না; আমি জানি না। কারণ চিকিৎসার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা আমাদের হাসপাতালগুলো দেখবে। মশক নিধনের দায়িত্ব আমাদের মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো পালন করবে। সঙ্গে সাধারণ মানুষও অংশগ্রহণ করবেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সাল থেকে আমাদের এখানে ডেঙ্গুরোগের তীব্রতা লক্ষ্য করছি। কয়েক বছর এটি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল।

কিন্তু এ বছর মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যা আমাদের কাছে সত্যিকার অর্থে বেদনার, কষ্টের। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিচ্ছিন্ন কোনো ত্রুটি থাকলেও সামগ্রিকভাবে আমরা তদারকি করছি।

তিনি আরো বলেন, সারা পৃথিবীতেই নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি হলো সব মানুষের অংশগ্রহণ। যেহেতু আমাদের এখানে ডেঙ্গুর মারাত্মক বিস্তার ঘটেছে, সেহেতু অধিকাংশ এডিস মশাই জীবাণু বহন করে। এখন এই মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনগুলো কাজ করছে। জনগণও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসেছে, তাদের অংশগ্রহণ আছে। কিন্তু যে পরিমাণ অংশগ্রহণ দরকার, আমার মনে হয়, সেটা হচ্ছে না। গত বছর পর্যন্ত রোগটি ঢাকাসহ শহর এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার তা গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

মশানিধনে দেশে সারাবছর কার্যক্রম চলে উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, তবে এখন চলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ। বর্ষকালের পর তো এডিস মশা থাকে না, মানে খুবই কম থাকে। পাঁচ থেকে ১০ জন আক্রান্ত হতে পারেন মাসে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা মশা মারার কার্যক্রম চালাই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত