ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আজ শেষ হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন

আজ শেষ হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দুই দিনব্যাপী জি-২০ সম্মেলন শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার প্রথম দিনের সম্মেলনে বিশ্ব অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশ্ব নেতারা। জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর আওতায় বিশ্ব অর্থনীতির ৮৫ শতাংশ এবং বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশ। বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ জনগণও রয়েছে এসব দেশে।

সম্মেলনের স্বাগত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘বিশ্বব্যাপী বিরাজমান বিশ্বাসের ঘাটতি’ দূর করে বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপনে সবার প্রতি আহ্বান জানান। সম্মেলনে মোদির টেবিলে ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘ভারত’ লেখা নেমপ্লেট রাখা হয়। সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে আফ্রিকার দেশগুলোর জোট আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) জি-২০-এর স্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছে জানান জোটের বর্তমান সভাপতি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

পরে তিনি আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ারপারসন অ্যাজালি আসৌমানিকে জি-২০-এর আলোচনার মূল টেবিলে যোগ দিতে আহ্বান জানান।

এ সময় মোদি বলেন, এইউ জি-২০ জোটে যোগ দেওয়ার ফলে এর কার্যকারিতা আরো বাড়বে। জি-২০-এর স্থায়ী সদস্য হিসেবে আফ্রিকান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্তি জি-২০-কে শক্তিশালী করার পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠকেও শক্তিশালী করবে।

জি-২০-এর সদস্যপদ পেতে জোটের সদস্য দেশগুলো এইউকে যেভাবে বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন পেয়েছে তাতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে সন্তোষ প্রকাশ করেন এআইয়ের চেয়ারপারসন আসৌমানি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর দ্বিতীয় কোনো আঞ্চলিক জোট হিসেবে এইউ জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিলো।

অংশ নেওয়া বিশ্ব নেতারা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। তাদের মতৈক্যের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত হয়েছে ‘নয়াদিল্লি ঘোষণা’। ভারতের সভাপতিত্বে চলমান সম্মেলনে এমন অসামান্য ঐকমত্য সবার জন্যই বড় অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভাজন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা মারাত্মক দুরূহ হয়ে উঠেছিল।

জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভাপতিত্ব করেছেন। সভাপতির বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সুখবর রয়েছে। আমাদের টিমের কঠোর প্রচেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সহযোগিতায় নয়াদিল্লি জি-২০ নেতাদের সম্মেলনের ঘোষণায় ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে। জি-২০-এর দিল্লি ঘোষণায় মোট ৭৩টি ফলাফল এবং ৩৯টি সংযুক্ত নথি রয়েছে, যা আগের সম্মেলনগুলোর তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, স্বাস্থ্য, জলবায়ু, জলবায়ু অর্থায়নসহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটিকে ‘অত্যন্ত পরিপক্ব ও বুদ্ধিমান খসড়া’ বলা হয়। কোভিড-পরবর্তী বিশ্বে একটি বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে। বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও অনুপ্রেরণা দেবে দিল্লি ঘোষণা।

এবারের সম্মেলনে যোগ দেননি জোটের অন্যতম দুই শীর্ষ দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত