ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাস

‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাস

ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না, এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে গতকাল ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল-২০২৩’ পাস করা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা সম্পর্কিত কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী গত সোমবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।

ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না, এমন বিধান রেখে ‘বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা’ আইনের সংশোধন করার প্রস্তাব করা হয়। সোমবার জাতীয় সংসদে একটি বিল আনা হয়। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে তোলেন।

এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না, যদি তা উর্বর কৃষি জমি হয় বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় বা কৃষি জমির উর্বর উপরিভাগের মাটি হলে যদি পরিবেশ প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধিত হয়, বা ড্রেজারের মাধ্যমে বা যদি অন্য কোনো কৌশলী প্রক্রিয়ায় বালু বা মাটি উত্তোলন করা হয়, যাতে এই জমিসহ পার্শ্ববর্তী অন্য জমির ক্ষতি, চ্যুতি বা ধসের উদ্ভব হয়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে ভূমিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র ও জনসাধারণের স্বার্থে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বর্তমানে আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও জেলা প্রশাসকগণের মতামত গ্রহণপূর্বক বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিলটি আইনে পরিণত হলে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হবে। পরিকল্পিত বালু উত্তোলনের মাধ্যমে নদ-নদীর নাব্যতা বজায় রাখা, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বালু/মাটির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অবৈধভাবে বালু/মাটি উত্তোলনের প্রবণতা বন্ধ হবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিসহ জনসাধারণের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে মর্মে আশা করা যায়।

বিলটির বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র ও জনসাধারণের স্বার্থে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বর্তমানে আবশ্যকতা ও প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও জেলা প্রশাসকদের মতামত গ্রহণপূর্বক বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত