ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ সেপ্টেম্বর

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ সেপ্টেম্বর

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। পরে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন। ড. ইউনূসের পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। অপরদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে আছেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এর আগে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের সময় সাক্ষীকে জেরা করার সময় দফায় দফায় বাকবিতণ্ডায় জড়ান দুইপক্ষের আইনজীবীরা। একপর্যায়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এজলাস কক্ষ। উভয় পক্ষকে শান্ত করতে হস্তক্ষেপ নেন বিচারক নিজেই। এর আগে, গত ২০ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। তার আগে গত ৬ জুন এ মামলায় বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার শ্রম আদালত। পরে এ আদেশে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন ড. ইউনূসের আইনজীবী। চলতি বছরের ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের নামে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। পরে ১৯ মে শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। মামলার অপর তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৩ জুলাই শ্রম আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রুলের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২৫ জুলাই চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মামলাটিতে স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন। এর ধারাবাহিকতায় ৩ আগস্ট মামলাটির রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী শুনানি শেষে ৮ আগস্ট রুল খারিজ করে রায় দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত