ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘ভোটকেন্দ্র’ পর্যন্ত সংগঠন মজবুত করছে আ.লীগ

‘ভোটকেন্দ্র’ পর্যন্ত সংগঠন মজবুত করছে আ.লীগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র সাড়ে তিন মাস বাকি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজপথ আর ভোটের মাঠ নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়ে আগাচ্ছে সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়ে ক্ষমতাসীনদের পতনে একদফা আন্দোলন করছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টিও নির্বাচনমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। জোট-মহাজোটের বাইরে থাকা ইসলামি দলগুলোও রাজপথে সাংগঠনিক কর্মসূচি বাড়াচ্ছে। এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন প্রচার আর সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে মনোযোগী হয়েছে। ভোটে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে ‘ভোটকেন্দ্র’ পর্যন্ত সংগঠন শক্তিশালী করতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। মূল দলের বাইরে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতিৃপ্রতিম সংগঠনগুলোও তৃণমূল পর্যন্ত সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করতে তৎপরতা চালাচ্ছে। ভোটের আগে দলকে মজবুত করতে ইউনিট ভিত্তিক কমিটির মাধ্যমে ‘ভোটকেন্দ্র’ পর্যন্ত সংগঠন গড়ে তুলতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগেভাগেই ঢাকায় আসনভিত্তিক কমিটি গঠন করছে উত্তর-দক্ষিণ যুবলীগ। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্রের নামানুসারে ইউনিট কমিটি দিচ্ছে সংগঠনটি। ঢাকার বাইরেও সংগঠন শক্তিশালী করতে কমিটি দিচ্ছে যুবলীগ। নির্বাচনের আগেই নড়েচড়ে বসছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগও। সাংগঠনিক গতিশীলতা বাড়াতে ঢাকাসহ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর নেতকর্মীদের সঙ্গেও কর্মিসভা করছে, মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটির সম্মেলন দিচ্ছে।

দলটির নীতি নির্ধারকদের মতে, টানা জয়ের ধারা ধরে রাখতে হলে, আওয়ামী লীগকে মানুষের সঙ্গে আরো নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। পাশাপশি নৌকার পক্ষে মানুষের সমর্থন আদায় করতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকার যে কাজ করছে, সেই তথ্য তুলে ধরতে হবে। সেইসঙ্গে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ একটি জনকল্যাণমুখী রাজনৈতিক দল। যতবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে। পুনরায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের মাধ্যমে দেশ আরো উন্নত হবে। অতীত ঐতিহ্য প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ ভোটমুখী রাজনৈতিক দল। আমরা এখন সরকারে আছি, সে কারণে রাষ্ট্রের এবং জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এই সুযোগে রাজপথ কেউ দখল করবে, সেটা হবে না। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত মাঠেও আমরা সক্রিয় থাকব। কেননা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত নাশকতা, অরাজকতা, সন্ত্রাস-ষড়যন্ত্র নানা কিছু করার অপচেষ্টা করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাচীন রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগেরই একমাত্র গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পর্যায়ে কমিটি রয়েছে। বছরজুড়েই নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকে আওয়ামী লীগের। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন থেকে শুরু করে উপজেলা, পৌরসভার নির্বাচন, জেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দলের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে, সেজন্য তারা প্রতিনিয়ত মানুষের মধ্যে কাজ করে, মানুষের বাড়ি বাড়ি যায়, আলাপ-আলোচনা করে, দলের সঙ্গে তাদের একটা বন্ধন তৈরি করে। সেজন্য যে কোনো সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা হলে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত, আমাদের তৃণমূলও প্রস্তুত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত