ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অক্টোবরে বসছে শেষ অধিবেশন

আগের ফরমেটেই হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার

আগের ফরমেটেই হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে করার প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে নির্বাচনের সময়ে কোন ফরমেটে সরকার থাকবে সেটি নিয়ে চলছে বিভিন্ন মহলে আলোচনা। সবার নজর এখন নির্বাচনকালীন সরকারের দিকে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বলছে আগের ফরমেটে নির্বাচনকালীন সরকার এবারও হবে। অন্যদিকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছে।

সূত্র জানায়, আগামী আক্টোবর মাসে বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশন বসবে। আর ইসি তফসিল দেবে নভেম্বরে। অধিবেশন এবং তফসিলের মাঝে সময়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। কেননা, তফসিলের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচনেও একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে। তেমন ব্যতিক্রম কিছু হবে না। আগের মতোই আকারে ছোট হবে সরকারের। তারা রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনের পৌনে ২ মাস আগে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর গঠন করা হয়েছিল নির্বাচনকালীন সরকার। সেখানে নতুন-পুরাতন মিলিয়ে মোট সদস্য ছিলেন ২৯ জন। ১০ জন ছিলেন উপদেষ্টা। তখন ওই সরকারকে বলা হচ্ছিল সর্বদলীয় সরকার। এরপর একই প্রক্রিয়ায় ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও সরকার গঠন করা হয়। এবারও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই প্রক্রিয়ায় সরকার গঠন হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেন, বরাবরের মতোই হবে নির্বাচনকালীন সরকার। আকারে ছোট হবে। তারা রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। তবে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর মধ্যে যে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে রাখা হবে। এদিকে আগামী দ্বাদশ সংসদের আগে বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশন বসছে আগামী অক্টোবরে। এ আধিবেশনে নতুন করে কোনো চমক থাকছে না। তবে বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশনে বেশ কিছু বিল পাস হবে।

সূত্র জানায়, চলতি একাদশ সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হবে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই ৯০ দিন গণনা শুরু হবে। তার আগে চলতি সংসদের সংসদের শেষ অধিবেশন বসবে আগামী অক্টোবরে। এ আধিবেশনে ১৭টির মতো বিল পাস হতে পারে। তবে সে সময় আরো কিছু নতুন বিল যুক্ত হতে পারে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে কিংবা জানুয়ারির প্রথম দিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে। সিইসি বলেন, তফসিল কবে হতে পারে সে সিদ্ধান্ত কমিশন সভায় হবে। সেটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও হতে পারে। সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ দিন আগে তফসিল হয়। তবে সংসদ ভোট উপলক্ষ্যে সব ধরেনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ইসি।

অক্টোবরে অধিবেশন বসবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অক্টোবরের অধিবেশনই শেষ অধিবেশন। এরপরই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিলে এদিকে (সরকারি দলে) থাকবেন, না দিলে ওদিকে (বিরোধী দলে) যাবেন। কোনো অসুবিধা নেই। জনগণের ওপর আমরা সব ছেড়ে দিচ্ছি। জনগণ যেটা করবে। সেটাই তিনি মেনে নেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে। গণতান্ত্রিক ধারাটা যেন ব্যাহত করতে না পারে। কোনো চক্রান্তের কাছে বাংলাদেশের জনগণ আর মাথানত করবে না। সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এ অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে। বিশ্বব্যাপী বাঙালি যে মর্যাদা পেয়েছে, সেই মর্যাদা অব্যাহত রেখে আমরা এগিয়ে যাব। আবার দেখা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত