ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৩০০ আসনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি জাতীয় পার্টির

গুরুত্ব পাবে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থী
৩০০ আসনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি জাতীয় পার্টির

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের সব রাজনৈতিক দল। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। দলটি সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থীর খোঁজ শুরু করেছে।

জাপা সূত্র জানায়, দেবর-ভাবির আগের মতবিরোধ চেপে রেখে এখন দুজন মিলে আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা আসনগুলোর প্রার্থী বাছাই করতে চূড়ান্ত আলোচনা শুরু করেছেন। জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের পুরোপুরি নির্বাচনের দিকে মনযোগ দিয়েছেন। সূত্র জানায়, প্রার্থী বাছাইয়ে সময় গুরুত্ব দেওয়া হবে দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিদের। এছাড়া ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদেরও গুরুত্ব দেয়া হবে এবার। জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে নির্বাচনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি। তিনি বলেন, ‘এজন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুর্নীতিমুক্ত ভালো প্রার্থীকে নমিনেশন দেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ১৯৯০ সালের পর জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তবে কেউই জনগণের হৃদয় থেকে জাতীয় পার্টিকে, লাঙ্গল প্রতীককে মুছে ফেলতে পারেনি। বরং আজকে সেই লাঙ্গল প্রতীক ও জাতীয় পার্টি আরো উজ্জীবিত হয়েছে, আরো শক্তিশালী হয়েছে। এদিকে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে। তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদ সব রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। সংসদকে প্রাণবন্ত অংশগ্রহণমূলক ও কার্যকর করতে জাতীয় পার্টি সংসদীয় দল সব সময় আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। একাদশ জাতীয় সংসদে ২৩তম অধিবেশন পর্যন্ত ২৫৪ কার্যদিবস পরিচালিত হয়েছে এবং এতে মোট ১২২টি আইন পাস হয়েছে। বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা প্রতিটি অধিবেশনে যোগদান, আইন প্রণয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও গঠনমূলক সমালোচনাসহ বিভিন্ন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন। জনস্বার্থে বিভিন্ন দিক এই সংসদে তুলে ধরেছেন।

রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে। জাতীয় পার্টি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সব জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিকধারায় বিশ্বাস করি বলেই কখনই আমরা নির্বাচন বয়কট করিনি। আমরা আশা করি যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নিবে।

জানা যায়, চলতি একাদশ সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হবে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে এই ৯০ দিন গণনা শুরু হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, আগামী ডিসেম্বরের শেষ দিকে কিংবা জানুয়ারির প্রথম দিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে। তিনি বলেন, তফসিল কবে হতে পারে সে সিদ্ধান্ত কমিশন সভায় হবে। সেটি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও হতে পারে। সাধারণত ৫০-৬০ দিন আগে তফসিল হয়। তবে সংসদ ভোট উপলক্ষ্যে সব ধরেনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ইসি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত