ঢাকায় জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি

ভারি বর্ষণের পূর্বাভাস

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কসহ অলিগলির রাস্তায় হাঁটুপানিতে তলিয়ে যায়। কোথাও কোথাও জমে যায় কোমর পানি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছিল। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। অনেকেই মধ্যরাতে বৃষ্টিতে ভিজে ঘরে ফেরেন। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও আশপাশের এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সংস্থাটি পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী দুদিনও এমন ভারিবর্ষণ হতে পারে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে নিউমার্কেট, মতিঝিল, মালিবাগ, মৌচাক, রাজারবাগ, শান্তিনগর, ধানমন্ডি, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর, বনানী, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, সায়েন্সল্যাব, বাড্ডা, টিকাটুলী এলাকার সড়ক পানিতে ডুবে যায়। কোথাও কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি ওঠে। কিছু কিছু সড়কে প্রাইভেটকার ও অটোরিকশা নষ্ট হয়ে থাকতে দেখা যায়। অনেক এলাকার ফুটপাতও ছিল পানির নিচে।

জলমগ্ন সড়কে আটকা পড়ে দীর্ঘক্ষণ কাটাতে হয়েছে অনেককে। তাদের একজন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী চন্দ্রিকা রহমান জানায়, স্কুল ছুটির পর কোচিং করে মায়ের সঙ্গে রাত ৯টায় সিদ্ধেশরী থেকে সে বাসায় ফিরছিল। তাদের বাসা পশ্চিম ধানমন্ডির মিতালী সড়কে। ফেরার পথে রাত ১০টার দিকে ধানমন্ডি-৫ নম্বর সড়ক-সংলগ্ন সাতমসজিদ সড়কে এলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পানি ঢুকে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।

চলতি বছরের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টিতে ভোগান্তির মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশি। হেঁটে যেখানে যেতে ১০ মিনিট লাগে, গাড়িতে সেই জায়গায় যেতে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগেছে। রাত ১০টার দিকেই তলিয়ে যায় গ্রিন রোড ও যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা। সড়কে বহু গাড়ি আটকে থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া ধানমন্ডি-৫ নম্বর সড়ক, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, হাতিরপুল এলাকার সড়কেও পানি জমতে দেখা গেছে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সারা দিনের গড় বৃষ্টিপাত ছিল ৯ মিলিমিটার। তবে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ২৩ মিলিমিটার গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হয়।

গতকাল শুক্রবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতও হয়েছে।