বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ভিসানীতি বা বিএনপির আন্দোলন কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি কমানো, দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধের জন্য এখন মনোযোগ দিতে হবে; এটা করা গেলে জনগণের মধ্যে যে পরিমাণ অসন্তোষ রয়েছে, সেটা দূর হয়ে যাবে। জনগণই নিজ দায়িত্বে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে। সেই লক্ষ্যেই সব গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত ‘রুখো আমেরিকা, রুখো বিএনপি-জামায়াত’ দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াও- এই স্লোগানে দেশজুড়ে ১৫ দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপণীতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, মার্কিনীদের মুখে মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না। ওরা অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে মাতব্বরি করছে কিন্তু নিজের দেশের অবস্থা টলমল। বাংলাদেশের জনগণই বাংলাদেশের নির্বাচন নির্ধারণ করবে। তিনি দ্রব্যমূল্য রোধে টিসিবির সরবরাহ বৃদ্ধির কথা বলেন। পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক কমরেড কিশোর রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এবং কমরেড কাজী মাহমুদুল হক সেনা ও কমরেড মামুন মোল্লার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন পার্টি পলিটব্যুরোর সদস্যবিশিষ্ট শ্রমিক নেতা কমরেড কামরুল আহসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য কমরেড কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, কমরেড মুর্শিদা আখতার নাহার, কমরেড তাপস দাস, কমরেড তপন সাহা। এছাড়া সংহতি বক্তব্য দেন ছাত্রনেতা ইমরান নুর নিরব প্রমুখ। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ও মহানগরবাসীর জীবন জীবিকার সংকট মোচনের লক্ষ্যে প্রচারপত্র বিলি করা হয়।
এছাড়া ঢাকা জেলা, ঢাকা মহানগর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নাটোর, নীলফামারী, দিনাজপুর, রাজশাহী, পিরোজপুর, বরিশাল, শেরপুর, রংপুর, সিলেট, গোপালগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাগেরহাট, খুলনা, নড়াইল, যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ জেলায় লাল পতাকা মিছিল করে সংগঠনটি।
