ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্ব বসতি দিবস আজ

বিশ্ব বসতি দিবস আজ

আজ ‘বিশ্ব বসতি দিবস’। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে আজ এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সচেতনামূলক আলোচনাসভা, র‌্যালি ও সেমিনার। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহ-ই চালিকাশক্তি’। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কর্মসংস্থান, আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, যানবাহন প্রভৃতি নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়ণ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে অন্যতম নিয়ামক।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে টেকসই শহর ও জনপদ গড়ে তোলা জরুরি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এর অভীষ্ট ১১-তে বিশ্বব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, অভিঘাতসহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার টেকসই শহর ও জনপদ গড়ে তোলার জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন, মৌলিক সেবায় পর্যাপ্ত প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণ এবং নিম্নবিত্তদের আবাসন নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহরগুলোর জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রণীত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ ২০২২-৩৫) বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, বাসযোগ্য, পরিকল্পিত ও টেকসই নগরায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস। এছাড়া আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য সক্ষম পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, দেশের গৃহহীন-ভূমিহীনদের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’র মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশে আর কোনো গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ থাকবে না।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে নগর ও গ্রাম অঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আমাদের সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।’ তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জনসাধারণের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন; যাতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় এবং একই সঙ্গে নগর ও গ্রামাঞ্চলের সুষম উন্নয়ন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার নগরগুলোকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যেমন- মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা সেতু প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, বিভিন্ন উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প নগরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।’ তিনি বলেন, শহরগুলো হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দু। নগরায়ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফল নয় বরং এর প্রকৃত চালিকাশক্তি। শহরগুলোর প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের জন্য স্থিতিশীল নগর অর্থনীতি অপরিহার্য। নগরের অর্থনীতি স্থিতিশীল না হলে কী ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, কোভিড-১৯ এর সময় তা লক্ষ্য করা গেছে। কোভিড-১৯ বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে মন্থর করে দিলেও আমাদের সরকার এ অতিমারি মোকাবিলায় অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে, যা আজ বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ হতে ২৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা শিগগিরই ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে স্থিতিশীল ও উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দেশের আপামর জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা পাব বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ লক্ষ্যে আমরা ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। বাস্তবায়িত হবে জাতির পিতার আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত