ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের নিচু এলাকায় ফের জলাবদ্ধতা : জনদুর্ভোগ

সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের নিচু এলাকায় ফের জলাবদ্ধতা : জনদুর্ভোগ

চট্টগ্রামে কয়েকদিন তাপপ্রবাহের পর গতকাল সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ঝুম বৃষ্টিতে নগরীর নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।

সড়কের কোথাও গোঁড়ালি থেকে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। এতে লোকজনের ভোগান্তি বেড়ে যায়। আবহাওয়া অফিস বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩৩ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। বৃষ্টিপাতের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে থেমে থেমে চলা বৃষ্টিতে নগরের বাকলিয়া, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, চকবাজার ও পাঁচলাইশ আবাসিকসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় লোকজন রিকশা বা অন্যান্য যানবাহন ছাড়া চলাচল করতে পারেনি। বিকালে জোয়ারের পানিতে নিচু এলাকা আরো জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নগরীর পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে নিচ তলায় পানি জমে যায়। এতে পাসপোর্ট করতে আসা লোকজন চরম দুর্ভোগে পড়েন। অনেকে কাজ না করেই নিজ নিজ গন্তব্যের দিকে রওয়ানা হন। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের এক কর্মকর্তা বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। চার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নগরবাসীর অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা হয়। এতে বিপাকে পড়েন নগরবাসী। এটি এখন নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে সরকার একের পর এক বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এই তিন সংস্থা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মোট চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু জলাবদ্ধতা সমস্যা কাটছে না। বরং নগরীর নতুন নতুন এলাকা জলমগ্ন হচ্ছে। এতে নগরবাসী চরমভাবে হতাশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত