ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১৫ অক্টোবর আসছে যুক্তরাজ্যের কারিগরি টিম

উৎপাদনে যাচ্ছে সিইউএফএল কৃষিতে পড়বে ইতিবাচক প্রভাব

উৎপাদনে যাচ্ছে সিইউএফএল কৃষিতে পড়বে ইতিবাচক প্রভাব

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সার উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে (সিইউএফএল)। আগামী সপ্তাহেই উৎপাদন শুরুর আশা করা হচ্ছে। এটি চালু হলে দেশে সারের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। কৃষি উৎপাদনেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ঘন ঘন বন্ধ থাকায় গেল কয়েক বছরে বিপুল সার উৎপাদন ব্যাহত হয়। আশা করা হচ্ছে এবার নিরবিচ্ছিন্ন উৎপাদন হবে এই সার কারখানায়। জানা গেছে, ১০ মাস আগেই কারখানা থেকে সর্বশেষ সার উৎপাদন হয়। মাঝখানে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে। এ সময় কারখানার কারিগরি ক্ষতিও হয়েছে বেশ। কারণ এসব সার কারখানা দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মেশিনারিজে। অর্থাৎ, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকলে যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এবার চালু করার প্রক্রিয়া শুরুর আগে থেকে মেশিনারিজগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোথাও কোনো ত্রুটি পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করতে হবে। অন্যথায় নির্ধারিত সময়ে চালু করা কঠিন হবে।

কারখানার সংশ্লিষ্টরা জানান, ১০ মাস বন্ধ থাকার পর এবার চাহিদার প্রায় সমান গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা লিমিটেডে (সিইউএফএল)। গেল ৩০ সেপ্টেম্বর বিকালে কারখানাটিতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। গ্যাস সরবরাহ পাওয়ার পর পরই সার উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে গ্যাস সরবরাহ পেলেই কারখানাটি চালু করা যায় না। গ্যাস সরবরাহ পেলে উৎপাদন শুরুর প্রাথমিক কার্যক্রম শুরুর পর নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। এর আগে বিভিন্ন কারণে ১০ মাস কারখানাটির উৎপাদন ব্যাহত হয়। ওই সময়ে শুধু মাত্র পাঁচ দিন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর বিকালে গ্যাস পাওয়ার পর উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয় গ্যাস সরবরাহ পাওয়া সাপেক্ষে। তবে ট্রায়ালের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের চারজনের একটি প্রতিনিধি দল এসে পরীক্ষা করবে। এরপর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে পুরোদমে সার উৎপাদন শুরু করার আশা করছে সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ২২ নভেম্বর কারখানার এমোনিয়া প্ল্যান্টের রিফর্মার পাইপ লাইন ফেটে আগুন ধরে গেলে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে। এরপর মেরামত শেষে গত ২২ মার্চ উৎপাদন শুরু হলেও পাঁচ দিনের মাথায় ২৭ মার্চ দুপুরে পুনরায় বন্ধ হয় কারখানাটি। এরপর থেকেই সার উৎপাদন বন্ধই ছিল।

কারখানার কর্মকর্তারা জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর গ্যাস পাওয়ার পর প্রাথমিক উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মাত্র। আরো অনেক কাজ বাকি আছে। উৎপাদন ট্রায়াল বা কারখানা চালু করার ট্রায়ালের কাজ করার জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের চারজনের একটি প্রতিনিধি দল কারখানায় আসবে। এরপর কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে। আমরা গ্যাস পেয়েছি। আগামী ১৫ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের চারজনের একটি প্রতিনিধি দল এসে কারখানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে। তারা মেশিনারিজের কারিগরি সক্ষমতাসহ নানা কিছু পরীক্ষা করবে। এরপর পুরোদমে উৎপাদনে যাবে সিইউএফএল।

চট্টগ্রাম চেম্বারের এক পরিচালক বলেন, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সারখানাটি সারা বছর উৎপাদনে থাকা জরুরি। কারণ, কৃষিকাজের অন্যতম বড় উপকরণ হচ্ছে সার। সময়মতো কৃষক সার না পেলে চাষাবাদ করতে পারে না। এতে দেশের বার্ষিক চাল উৎপাদনে ঘাটতি পারে। তার বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে হলেও সার কারখানাটি সারা বছরই চালু রাখতে হবে। এজন্য এই সার কারখানায় সারা বছর গ্যাস সরবরাহও নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত