ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জমি দখলের মহোৎসব

ঝুলছে দশ হাজার মামলা

ঝুলছে দশ হাজার মামলা

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাগুলোর বাড়ি বা সম্পত্তি সংক্রান্ত দশ হাজারের বেশি মামলা চলছে দেশের বিভিন্ন আদালতে। বছরের পর বছর চলা মামলাগুলো নিষ্পত্তি কবে নাগাদ হবে, নিশ্চিত করে বলতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে এমনিতেই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। আর এসব মামলা হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে, নানা কারণেই দ্রুত মামলার জট খোলে না। তবে বর্তমানে সম্পত্তির মূল্য পাওয়ায় মামলা তদারকি বেড়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নথির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে জমি/বাসা/বাড়ি/সম্পত্তি সংক্রান্ত ১০ হাজার ১৫১টি অনিষ্পন্ন মামলা রয়ে গেছে। এরমধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৩ হাজার ৪০৩টি, গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৯২৬টি, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ১ হাজার ৭৯৪টি, প্রথম কোর্ট অব সেটেলমেন্ট ২৫০টি, সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের ১৫২টি, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১৭টি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৩টি, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ১০টি এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ২৪টি অনিষ্পন্ন মামলা রয়ে গেছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাগুলোর বাড়ি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা ছাড়াও অননুমোদিত নির্মাণ সংক্রান্ত ৪ হাজার ৪৫৩টি অনিষ্পন্ন মামলা রয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকায় জমির দাম আকাশচুম্মি। সরকারি জমি কোনো রকম দখলে নিতে পারলে তা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেন দখলদাররা। এরইমধ্যে রাজধানীতে অর্ধশতাধিক পরিত্যক্ত বাড়ি বা জমি বেদখল হয়েছে। এরমধ্যে মোহাম্মদপুরে ২৩টি, মিরপুরে আছে ১০টি, মতিঝিলে তিনটি, পল্টনে তিনটি, লালবাগে তিনটি, শাহবাগে একটি, লালমাটিয়ায় একটি, মগবাজার দিলু রোডে একটি, নিউ ইস্কাটনে একটি, তেজগাঁওয়ে একটি, সূত্রাপুরে একটি, শাঁখারাজীবাজারে একটি, নন্দলাল দত্ত লেনে একটি এবং আরকে মিশন রোডে একটি। এসব পরিত্যক্ত বাড়ি বা জমি উদ্ধারে নজর দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

পরিত্যক্ত জমি ও বাড়ি সংক্রান্ত মামলা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় চট্টগ্রামের গণপূর্ত রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ। এই বিভাগের নথিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামস্থ বিভিন্ন আদালতে থাকা পরিত্যক্ত বাড়িঘরের উপর মোট ৫২টি মামলা, চট্টগ্রামস্থ পরিত্যক্ত বাড়িঘরের উপর ঢাকাস্থ মহামান্য হাইকোর্টে চলমান রয়েছে ১০৮টি মামলা। এছাড়াও চট্টগ্রামস্থ পরিত্যক্ত বাড়িঘরের উপর ঢাকাস্থ দ্বিতীয় কোর্ট অব সেটেলমেন্টের চলমান ২০টি মামলা রয়েছে। সব মিলিয়ে ১৮০টি মামলা পরিচালনার জন্য চট্টগ্রামে গণপূর্তের নিজস্ব কোনো আইনজীবী নিয়োগ করা হয়নি। তবে মাঝে মাঝে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়। মামলাগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে বরাবরই কম গুরুত্ব পাচ্ছে। যার ফলে বছরের পর বছর চট্টগ্রামে পরিত্যক্ত বাড়িঘরের উপর মামলাগুলো ঝুলে আছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি মানেই দখলের চেষ্টা ও দখল করে আবাসিক-বাণিজ্যক স্থাপনা গড়ে তোলা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখলে চলে গেছে। এখন এসব সম্পত্তি উদ্ধারে পদে পদে বিপত্তি তৈরি হয়েছে। কারণ সরকারি সম্পত্তি নিজের দাবি করে মামলাসহ বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছেন অবৈধ দখলদাররা। মূল্যবান সম্পত্তি ও বাড়ির দখলদারদের তালিকায় বড় ব্যবসায়িক গোষ্ঠী, আবাসন প্রতিষ্ঠান, এমনকি সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন। বেদখল হওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করে সেখানে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর স্থাপনের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, স্থাপত্য অধিদপ্তর, নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, কক্সবাজার, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সরকারি আবাসন পরিদপ্তর ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর রয়েছে। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে এসব সংস্থা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে উন্নয়ন কার্যক্রমে সাফল্য অর্জনে সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে সংস্থাগুলোর বেশকিছু জমি বেদখল হওয়ায় বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। আবার কিছু জমি নিয়ে মামলাও রয়েছে। তবে পরিত্যক্ত বাড়ি বা জমি উদ্ধারে গতি বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন। তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ‘পরিত্যক্ত জমি বা বাড়ির তালিকা কাগজে আছে, বাস্তবে সুনির্দিষ্ট করে কোথায় জমি, কি অবস্থা রয়েছে, মামলা থাকলে মামলার অবস্থা কোন পর্যায়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবাসন সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরিত্যক্ত বাড়ি ও সম্পত্তি উদ্ধার করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে’।

সচিব আরো বলেন, পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা বোর্ডকে কাজের তদারকি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে কাজের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে। সরকারি জমি দখলের সঙ্গে যত বড় রাঘববোয়াল জড়িত থাকুক, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। অনেকে সরকারি জমি দখল করে, জাল দলিল তৈরি করে কোর্টে মামলা করেন। মামলাগুলো কোর্টের মাধ্যমে দ্রুত সুরাহা করা হবে। এতে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা আর থাকবে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি জমিতে ছোট-বড় আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা গড়ে বহু বছর ধরে বেদখল করে রাখা হয়েছে। এখন সম্পত্তিগুলো উদ্ধারে গেলে অবৈধ দখলদাররা আগেভাগে উচ্চ আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসে। তারা কিছু মানবিক প্রসঙ্গের কথা আদালতকে বলে। ফলে বছরের পর বছর ধরে সরকারের মূল্যবান জমি বেদখল থাকছে।

মোহাম্মদপুর নূরজাহান রোডে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির জমি বেদখল হয়ে গেছে। সেই জমি উদ্ধার করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন গণপূর্ত অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা। এ বিষয়ে ওই কর্মকর্তা জানান, সরকারি সম্পত্তি কারো দখল ও ক্রয় বিক্রয় করার এখতিয়ার নেই। তারপরও একের পর এক মামলা দায়ের করে জমি দখল ও অবৈধ মালিকানা দাবির মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে। কোর্ট-কাছারিতে অনেক মামলাই দ্রুত নিষ্পত্তি হয়। তবে জমি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার বিষয়টি কমবেশি সবারই জানা। সেজন্য গণপূর্তের জমির মামলাগুলো বছরে পর বছর ঝুলে আছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাগুলোকে বিবাদী করে দায়ের করা রাষ্ট্রীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট জমি সংক্রান্ত মামলাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। চলতি বছরের ২০ সেপ্টম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা ও মামলা ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সফটওয়্যার ও ডেটাবেইজ প্রস্তুত সংক্রান্ত কাজের সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রথমে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো ও পরে সব মামলা ডাটাবেজের আওতায় নিয়ে এসে মনিটরিং করা হবে। জানা গেছে, সরকারি জমিতে ব্যক্তিমালিকানাধীন স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ না থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কিছু লোক এলাকার প্রভাবশালী লোককে সঙ্গে নিয়ে আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এমন অভিযোগও রয়েছে, দেশের যেখানেই সরকারি জমি দখল হয়, সেখানেই অবৈধ দখলদারেরা প্রভাবশালী মহলসহ প্রশাসনের কিছু ব্যক্তিকে হাতে রাখেন। দখলের ফলে তারা সবাই ভাগ পান। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্পত্তি বেদখলের মহোৎসব বন্ধ করতে সদিচ্ছার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্টরা কঠোর না হলে এটির সঠিক সমাধান সহজে হবে না। কারণ বহুদিন ধরে চলে আসা এই ধারার অবসান ঘটাতে হলে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারি সম্পত্তি দখলের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিত্যক্ত বাড়ি নিয়ে ২০১৮ সালের জুনে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, সারা দেশে ১০ হাজার ৪১৪টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৬ হাজার ৪০৬টি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। এসব বাড়ির মধ্যে গেজেটে প্রকাশিত ‘ক’ তালিকাভুক্ত বাড়ির সংখ্যা ৫ হাজার ২৮টি এবং ‘খ’ তালিকাভুক্ত বাড়ির সংখ্যা ১ হাজার ৪৩৯টি। জানা গেছে, স্বাধীনতার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়িঘর ফেলে পাকিস্তান চলে যায়। তখন সরকার এসব বাড়িকে পরিত্যক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে। ১৯৮৬ সালে এসব বাড়ির বিষয়ে গেজেট জারি করে সরকার। এরমধ্যে সরকারের দখলে থাকা বাড়িগুলো ‘ক’ তফসিলভুক্ত এবং ব্যক্তির দখলে চলে যাওয়া বাড়িগুলো ‘খ’ তফসিলভুক্ত। পরিত্যক্ত বাড়ি বা জমি নিয়ে মামলা আছে। এসব মামলার বিচারের জন্য ১৯৮৬ সালে দুটি আদালত গঠন করে সরকার। এর মধ্যে ‘প্রথম কোর্ট অব সেটেলমেন্ট’ শুধু ঢাকার পরিত্যক্ত বাড়ি এবং ‘দ্বিতীয় কোর্ট অব সেটেলমেন্ট’ ঢাকা ছাড়া সারা দেশের পরিত্যক্ত বাড়িগুলোর মামলার বিচার করে। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আদালত দুটির অবস্থান। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের রাজধানীসহ সারা দেশে পরিত্যক্ত বাড়ি বা জমি রয়েছে। এরমধ্যে কিছু জমি বেদখল হয়েছে। বেদখলি জমি উদ্ধারে গিয়ে দেখা গেছে- জমির দখলদাররা মামলার আশ্রয় নিয়েছেন। সেজন্য দিনে দিনে জমি সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা বাড়ছে। তিনি আরো বলেন, সরকারি স্থাপনা নির্মাণে বেশি গুরুত্ব দেয় গণপূর্ত অধিদপ্তর। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। সেজন্য পরিত্যক্ত বাড়ি বা জমির মামলা কম গুরুত্ব পায়। তবে সম্প্রতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় মামলাগুলোর গতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে, সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বেদখল জমি উদ্ধারে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এরপরও দেখা যায়- জমি দখলে রাখতে ভুয়া দলিল তৈরি করে কিছু মানুষ কোর্টে মামলা করেন। সেই মামলা মোকাবিলায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আইনজীবী নিয়োজিত রয়েছে। আদালতে কোনো মামলায় হেরে গেলে, ফের আপিল করা হয়। এছাড়াও জমি সংক্রান্ত প্রতি মাসে কতগুলো মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং কতগুলো মামলা চলমান, সেটির প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ঝুলে থাকা দশ হাজারের বেশি মামলা তদারকির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আইন উপদেষ্টা মোতাহার হোসেন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, জমি সংক্রান্ত মামলা নানা কারণে এমনিতেই দীর্ঘায়িত হয়। জমি সংক্রান্ত মামলা তদারকি করতে আইনজীবী রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর পাশাপাশি কোন মামলা কোন পর্যায়ে রয়েছে, মন্ত্রণালয় থেকেও সেগুলো মনিটরিং করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত