ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাণিজ্যমন্ত্রী

৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ

৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে দেশের রপ্তানি খাত বহুমুখীকরণ করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো’-ব্লিস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং এলএফএমইএবি যৌথভাবে আগামী ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে চর্তুথবারের মতো ‘বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস-২০২৩’ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে।

আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করার অন্যতম হাতিয়ার রপ্তানি বহুমুখীকরণ। বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম রপ্তানিমুখী দেশ হিসেবে বিশ্ববাজারে আবির্ভূত হয়েছে। রপ্তানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদেশি ক্রেতা-ব্র্যান্ডস ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়ন ও ব্যবসাবান্ধব নীতি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয়কারী চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

টিপু মুনশি আরো বলেন, রপ্তানি আয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চামড়াজাত পণ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে দ্রুত স্থান করে নিচ্ছে। বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে হবে। আমাদের পণ্যের কোয়ালিটি অনেক এগিয়ে গেছে যা আন্তর্জাতিক মান ধরে রেখেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের বিকল্প নেই। ব্লিস-২০২৩ এই লক্ষ্য অর্জনে অসামান্য অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে সামগ্রিক রপ্তানি আয়ের পোশাক খাত ৮৩ ভাগ দখল করে আছে। কিন্তু এই খাত একদিনে এই জায়গায় আসেনি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এটি অনেক সম্ভাবনাময় একটি খাত।

প্রদর্শনীতে পণ্যের প্রদর্শনীর পাশাপাশি তিনটি ব্রেকআউট সেশন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ২ শতাধিক শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, নীতিনির্ধারক এবং দেশি-বিদেশি অতিথিবৃন্দসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিবেন।

সংবাদ সম্মেলনে লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচার্রাস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুর রহিম খান এবং এলএফএমইএবি’র উপদেষ্টা মোহাম্মদ সায়ফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত