ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সচিবালয়ে মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

কারচুপি করে কেউ পার পাবে না দেশে ভোটের সুবাতাস বইছে

কারচুপি করে কেউ পার পাবে না দেশে ভোটের সুবাতাস বইছে

ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে না এবং এ ধরনের ইচ্ছা আমাদের রাজনৈতিক দলের নেই বলে মার্কিন প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ভোট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই, দেশে সহিংস ও জঙ্গিমুক্ত নির্বাচনি পরিবেশের সুবাতাস বইছে।

গতকাল সচিবালয়ে পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এর আগে দুপুর ১টার ৩৫ মিনিটে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। মার্কিন প্রাক-নির্বাচনবিষয়ক পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) প্রতিনিধি বনি গ্লিক, জামিল জাফের, জোহানা কাউ ও কার্ল রিক এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) মারিয়া চিন বিনতি আব্দুল্লাহ, মনপ্রিত সিং আনন্দ ও ক্রিগ হলস্টেড। দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপস্থিত হয় প্রতিনিধির দল। ৫ মিনিট পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভাকক্ষে প্রবেশ করেন তারা। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমি তাদের (পর্যবেক্ষক দলকে) বলেছি, আমাদের মিডিয়া পিপল একদম ফ্রি। তারা যেকোনো সংবাদ যেকোনো সময় ছাপিয়ে দেন। সেই ব্যাপারে আমরা কারো কণ্ঠরোধ করি না। আমাদের ৩ হাজারেরও বেশি দৈনিক সংবাদপত্র রয়েছে। এরপর রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানে তো নানা ধরনের সংবাদ দেওয়া হয়। কাজেই এখানে দুর্নীতি করে কিংবা ভোট কারচুপি করে কেউ পার পাবে বলে আমার মনে হয় না। সেই ধরনের মনোবৃত্তি আমাদের রাজনৈতিক দলের আর নেই। সবাই মনে করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের তত্ত্বাবধানে একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে, এই ছিল কথা’, যোগ করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটা ভায়োলেন্স ও টেরোরিস্ট ফ্রি (নির্বাচনি) পরিবেশের সুবাতাস এখন বইছে আমাদের দেশে। প্রধানমন্ত্রী আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে অতীতে সহিংসতামুক্ত নির্বাচন হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই নির্বাচনি কাজে থাকবে। তবে আনসার একটি বড় ভূমিকা রাখবে। কারণ তাদের সংখ্যাটি বিশাল।

নির্বাচন একটি উৎসবের মতো। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এই সরকারেরই অবদান। এখানে গণমাধ্যম মুক্ত। কারচুপি করে কেউ পার পাবে না- মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোও মনে করে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ কারণেই কেউ কারচুপি করার মানসিকতা রাখে না।

মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে কামাল বলেন, প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিনিধি দলের জানার ছিল। বিরোধীদলের প্রার্থীরা স্বাধীনভাবে প্রচার চালাতে পারবেন কি না, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন। তাদের মূল ভাবনা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে। কোনো প্রার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কী ব্যবস্থা রেখেছে, তাও জানতে চেয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তবে এই ধরনের সহিংস পরিস্থিতি এখন আর বাংলাদেশের নির্বাচনে তৈরি হয় না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি যাচাই করতে গত ৭ অক্টোবর ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের সাত সদস্য।

আইআরআই ও এনডিআইয়ের হয়ে যৌথভাবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রাক-নির্বাচন সমীক্ষা মিশন পরিচালনা করবেন তারা। সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং তাদের সহায়তাকারীদের আগামীকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করার কথা রয়েছে। দলটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, সরকারি সংস্থা, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, নারী সমাজ, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন সংস্থা এবং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং ঢাকার বিদেশি মিশনের কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত