ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সরকার পতনের হুমকিতেই কেটে গেল ১৫ বছর

বিএনপির ‘স্বপ্ন’ এখন লন্ডন আর পল্টনে
সরকার পতনের হুমকিতেই কেটে গেল ১৫ বছর

রাজপথের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। বিএনপির নেতাদের বক্তব্য ছিল ওই সময়ের মধ্যে বর্তমান সরকার পদত্যাগ না করলে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতার পটপরিবর্তন করবে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার পতনে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত ডেটলাইন দিয়ে নতুন করে কমসূচি ঘোষণা করেছিলেন। বিএনপির নেতারা সে মোতাবেক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন, তা গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার পতন ঘটাবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়েও দেন। তারা দাবি করেন, দেশ-বিদেশে এমন শক্তি সামর্থ্য বিএনপি অর্জন করেছে, যাতে সরকার পতন কেবল সময়ের ব্যাপার। আন্দোলন আর গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে ব্যর্থ হওয়ার পর, কোন প্রক্রিয়ায় সরকারের পতন ঘটাবে, তার কৌশল কিংবা রূপরেখা আজও প্রকাশ করেনি দলটি। তবে দেশের সামাজিক, অথনৈতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা রাতারাতি কীভাবে নিরসন করবে সেই পন্থা বাতলে রেখেছেন। তাহলো, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছেড়ে দিলে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সে কথাই বারবার আওড়াচ্ছেন বিএনপির নেতারা। তবে আওয়ামী লীগ সরকার কার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, সেটিও বিএনপির নেতারা প্রকাশ করেননি।

রাজনীতির অঙ্গনে রহস্যময় ‘অক্টোবর আতঙ্ক’ হিসেবে বিএনপি সর্বশেষ ১৮ অক্টোবরকে বেছে নেয়। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতারা সেভাবেই এগিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াল শারদীয় দুর্গোৎসব। পূজার কারণে বিএনপি তাদের সরকার পতনের সময়সীমা পূজার পর নির্ধারণ করে দিল। তবে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়নি। আগামী ২৪ অক্টোবর দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিজয়ী দশমী পালন করবে। বিএনপি ‘দয়াপরশ’ হয়ে সরকার পতনের আন্দোলনের সময় বিলম্বিত করেছে। আগামী ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলে জন্ম দিন। আর সেই দিনটিকে বেছে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতন ঘটাতে নানা সময় আলটিমেটাম দিয়ে আসছিল বিএনপি। শেখ রাসেল বাঙালির আবেগ-অনুভূতিতে জড়িয়ে আছে। বিএনপি বরাবই বাঙালির আবেগ-অনুভূতিতে কুঠারাঘাত করে আসছে।

সরকারের পতন ঘটাতে পারলে হয়তো সেদিন বিএনপি তাদের নতুন জন্মোৎসব পালন করত। আওয়ামী লীগ পদচ্যূত হয়ে রাজপথে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করত। তবে ওই দিন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আদরের ভাই রাসেলকে স্মরণ করতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যেতে পারতেন না। কেন না, অতীতে বিএনপির আমলে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম খালেদা জিয়া ভুয়া জন্মদিন পালন করতেন এবং শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে যাওয়ার সুযোগ পেলেও ৩২ নম্বরের আশপাশের এলাকায় বিএনপি উচ্চস্বরে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে শোকাহত পরিবেশকে ‘উল্লসিত’ করার অপচেষ্টা করত। বিএনপি বিগত ১৫ বছরে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ বার সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। তাদের হুমকিতে সরকারের পতন হয়নি, বরং শেখ হাসিনার সরকার আরো উজ্জীবিত হয়েছে। দেশ-বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। পদ্মা সেতু, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল ও এলিভেটেট এক্সপ্রেস ওয়ের মতো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করে দেশের মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বিএনপি যখনই কোনো সমাবেশের আয়োজন করে, তখনই একটা তারিখ নির্ধারণ করে সরকারকে বিদায় দেয়ার সময় বেঁধে দেয়। কিন্তু সেই সময় আসার আগেই তারিখ পরির্তন করে। সবশেষ আগামী ১৮ অক্টোবর সরকার পতনের একটা তারিখ মির্জা ফখরুল চট্টগ্রামের সমাবেশ থেকে দিলেও সেটাও রক্ষা করতে পারলেন না। দুর্গাপূজা আসায় বিএনপির মনোবাসনা পূরণ হলো না। দুর্গাপূজাকে বিএনপির নেতারা ‘অভিশাপ’ দিচ্ছেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দোষ দেয়া সমীচিন নয়। কেন না, বিএনপি বিগত দিনে সরকার পতনের ডাক দিয়ে রোজার পর, ঈদের পর, কোরবানির ঈদের পর, শীতের পর বর্ষার পর কিংবা কোনো পাবলিক পরীক্ষার পর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আলটিমেটাম দিয়েছে। প্রতিবার আলটিমেটাম দেয়ার পর তা আবার বাড়ানোও হয়েছে যেমনটি বাড়ানোর হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন দন্ডপ্রাপ্ত বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারের বাইরে থাকার নির্দেশনা সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাহী আদেশের মেয়াদ। বিএনপির সামনে এখন সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে খালেদা জিয়ার অসুস্থ্যতা। খালেদা জিয়ার কোনো কিছু হয়ে গেলে তারেক জিয়া দলের দায়িত্ব নিতে পারবেন না। কেন না তিনিও মায়ের মতো দণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি। আগামী মাসের প্রথম দিকে যদি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়, তাহলে সংবিধান অনুসারে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। সেই সরকার কেবল রুটিং দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যা যা করণীয় সেটা করবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন যে সব সুপারিশ করবে নির্বাচনকালীন সরকার তা বাস্তবায়ন করবে। তাহলে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি কোনো সরকারের পদত্যাগ দাবি করবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক মহল দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে গেছে।

আপাতত অক্টোবর আতঙ্ক হয়তো কেটে গেছে বলে প্রতীয়মান হলেও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন বলেছেন, তিন দিনের মধ্যে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব। তবে সেই অবস্থানেও বিএনপি অনড় থাকতে পারছে না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়ে নিজেদের পছন্দের সরকার প্রতিস্থাপন করার সকল আয়োজন সম্পন্ন করার পরও বিএনপি এখন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তাও আবার নির্বাচনকালীন সরকার গঠন প্রশ্নে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন প্রস্তাবে হতভম্ভ হয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা এতদিন আশায় বুক বেঁধেছিল ১৮ অক্টোবরের পর আওয়ামী লীগ সরকার একদিনের জন্য ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।

বিএনপির নেতারা বিভিন্ন টকশো কিংবা সভাসমাবেশে এমনি হুমকি দিয়ে মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের স্বপ্ন দেখিয়ে আসছিলেন। নেতার্মীরা সেভাইে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বিএনপি ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি যেভাবে অত্যাচার করেছে, মায়ের সামনে মেয়েকে দলবেধে ধর্ষণ করেছে, তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়ে ধানের শীষে ভোট না দেয়ার প্রতিশোধ নিয়েছে সেই অনুশোচনা থেকে হয়তো দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিল। সরকার পতনের আন্দোলনের তারিখ পিছিয়ে দিয়ে ২০০১ সালের অত্যাচারের নির্মমতাকে ভুলিয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ বিএনপির এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও আশ্বান্তিত হয়েছিল তবে লন্ডন থেকে ম্যাসেজ আসল না, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া না হলে তারা সরকারকে একদিন ক্ষমতায় থাকতে দেবে না। তবে সেই অবস্থান থেকে পিছু হটে বিএনপির নেতারা চ্যালেঞ্জের সুর তুলে বলতে শুরু করছেন, পূজার পর সরকার পতনের একদফার বাস্তবায়ন অনিবার্য। তবে আগামী ২৪ অক্টোরব বিজয়া দশমীতে দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। তার পরে আর তো বেশি দিন সময় থাকছে না। সেই প্রেক্ষাপটে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, তিন দিন সময় পেলেই সরকারের পতন ঘটনানো সম্ভব। হেফাজতে ইসলাম যেভাবে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল এলাকায় অবস্থান নিয়ে সরকার পতনের এক দফার ডাক দিয়ে এ দেশের কোমলমতি মাদ্রাসা ছাত্রদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছিল, সেভাবেই বিএনপি হয়তো গোপন কমসূচি সাঝিয়েছে। তবে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সহনীয় বলপ্রয়োগের মধ্যদিয়ে সরিয়ে দেয়ার সাফল্য অজন করলেও একটি মানবাধিকার সংগঠন ৬১ জনের প্রাণহানির খবর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিল। নিহতদের তালিকা দেয়ার জন্য ওই সংগঠনের কাছে অনুরোধ জানালে তারা সংখ্যাটি পরিবর্তন করে ১৩ জনে নামিয়ে আনল। এই ১৩ জনের তালিকাও আজ পর্যন্ত ওই সংগঠনটি দিতে পারেনি। তবে সেই সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে পানি ও শুকনো খাবার নিয়ে হেফাজতে ইসলামীর কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়ার পর জনগন কিছুটা হলেও বিচলিত হয়ে পড়ে। ক্ষমতায় যাওয়ার বাসনায় বিএনপি এবং তাদের সমব্যাথি রাজনৈতিক দলগুলো সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। শান্তির ধর্ম ইসলাম রক্ষার আন্দোলন করে আসা এই সংগঠনটি অবশেষে অন্যের ক্রীড়ানক না হওয়ায় ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন বিএনপির পূরণ হলনা। বিএনপির নেতৃত্ব মনে করেছিলেন হেফাজত মডেলে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে সরকার তিন দিনের মধ্যে পড়ে যাবে এবং বিএনপির নেতারা দৌড়ে গিয়ে ‘ বালিশ খেলার’ মতো ক্ষমতার চেয়ারে বসে যাবেন। তবে বিএনপির নেতার্মীরা হেফাজতে ইসলামীর কর্মীদের মতো ‘দলীয় কুয়াতে’ উজ্জীবিত না হয়ে ঘরে বসে থাকায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা চলে গেল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। না স্বপ্ন পূরণ হলো না। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনি মার্কিন প্রাক পর্যবেক্ষেক দল আজ বাংলাদেশ ছেড়ে যাচ্ছে। গতকাল বুধবার তারা সরকারের আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন। মার্কিন প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসার পর ‘ ক্ষমতার পালা’ বদল হবে এমন স্বপ্নও পূরণ হলো না বিএনপির। কি স্বপ্ন দেখলে ভবিষ্যতে কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, আগের দিনে নানি-দাদিদের কাছে বউঝিরা যেতেন। তারা ভালোমন্দ একটা বলে দিয়ে অবশেষে বলতেন ভালো ‘স্বপ্ন’ দেখেছো। আমাদের দেশে অনেক ভাগ্যগণনাকারী রয়েছেন, তারা খোয়াবনামা কাছে রাখেন। স্বপ্নের বর্ণনা শুনে খোয়াবনামা দেখে যা বলে দেন তা রীতিমতো অবাস্তব, অসম্ভব এবং অকল্পনীয়। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির অফিসের আশে পাশের এলাকায় লোহার খাচায় টিয়ে পাখি বন্দি করে এক প্রকার ভাগ্যগণনাকারী মানুষের ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন। তারা পথচারীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে টিয়ে পাখি দিয়ে একটা খাম তুলে আনার পর খামের ভেতরে থাকা ভবিষ্যৎ বাণী পড়তে দেন। কোনো কোনো অবিবাহিত পথচারী অচিরেই পুত্রসন্তানের পিতা হবেন- এমন ভবিষ্যৎ বানি সম্বলিত লেখনি পড়ে অনেকটা লজ্জাবোধ করেন। টিয়া পাখির ঠোঁটে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন বিএনপি দেখেছে বলেই আজ ১৫ বছর ধরে সরকার বিরোধী আন্দোলন করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারছেনা। ‘পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ’। বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধায়ের এমন উক্তিটি বার বার মনে করছেন দেশের মানুষ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের আলোচনায় সম্মত হয়েছেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে তাকে তো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ডাকেনি। জাতীয় সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর সংসদ সদস্যদের নিয়ে আগামী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে, এটাই সাংবিধাানিক প্রক্রিয়া। দুভ্যাগ্যবশত জাতীয় সংসদে বিএনপির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। তাহলে নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির থাকার সুযোগও থাকছে না। বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য রাজধানীর গোলাপবাগের গরুর হাটে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়ে সরকার পতনের যে ডাক দিয়েছিলেন, সেই ডাক এখন ‘বোকা কান্নায়’ রূপ নিয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত