সচিবালয়ে ওবায়দুল কাদের

বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে সংলাপের চিন্তা

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

শর্ত প্রত্যাহার করলে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের চিন্তা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শর্তযুক্ত সংলাপের ব্যাপারে আমাদের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। বিএনপি শর্ত প্রত্যাহার করলে তখন দেখা যাবে।

গতকাল সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা জানান। বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল। ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটন থেকে প্রচারিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের এই আহ্বানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সংলাপ চাইলে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা, এই চারটি শর্ত বাদ দিতে হবে। তবে অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। বিএনপির সঙ্গে শর্তযুক্ত সংলাপ হতে পারে না।

তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বিএনপি কার সংলাপ করবে? তারা এর আগে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপ খারিজ করে দিয়েছে। নির্বচান কমিশনের সঙ্গে পরপর দুই দফা আলোচনার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে তারা (যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দল) বিএনপির সঙ্গে কথা বলুক। বিএনপি শর্ত দিয়ে সংলাপ চাবে, সে ব্যাপারে আমরা কোনো চিন্তা-ভাবনা করছি না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সংবিধানে সব আছে। সংবিধানে যেভাবে নির্বাচনের বিধিবিধান সেভাবে আমরা নির্বাচন করব। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, আমরা সেভাবেই করব। নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হবে। এ বিষয়ে জাতির কাছে আমাদের অঙ্গিকার আছে, সেটা আমরা তাদের কাছে বলেছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের নির্বাচন করব, তারা (বিদেশি নির্বাচনি পর্যবেক্ষক) বন্ধু দেশ হিসেবে দেখার বিষয় রয়েছে। কারো পরামর্শ বা নির্দেশমতো নির্বাচন হবে না। অন্য বিষয় মার্কিন প্রাক-নির্বাচনি পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশ নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ওগুলো নিয়ে আমরা সবাই একমত। বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে তারা নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ পাঠাক। দেখুক আমরা যা বলছি সেভাবে নির্বাচন হচ্ছে কি না।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বন্ধুত্বের কূটনৈতিক বিষয়ে সব প্রকাশ্যে আলোচনা হয় না। অনেক সমঝোতা ভেতরেও হয়। বিদেশিদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ‘তলে-তলে কোনো আপস হয়নি’ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির মহাসচিব কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি? উনি কত কথা বলে। উনি বললে কি হবে।

এ সময় নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শিডিউল ঘোষণার পর গঠিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার। তবে সে সরকারের মন্ত্রিসভার আকার কেমন হবে তা নির্ধারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভা ছোট হবে না, বড় হবে কিংবা একইরকম থাকবে তা নির্ধারণের এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর। এখনই এ বিষয়ে আলাপ করার সময় হয়নি। তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচন কমিশন খুব পাওয়ারফুল হয়ে যাবে। আমরা করব তখন রুটিন ওয়ার্ক। তখন আমরা তাদের চাহিদা পূরণ করতে বাধ্য।