ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সর্বজনীন পেনশন

১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ

১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ

সর্বজনীন পেনশন তহবিলে এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জমা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা দিয়ে ট্রেজারি বন্ড কেনা হয়েছে। গতকাল এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ট্রেজারি বন্ড কিনে এই অর্থ বিনিয়োগের উদ্বোধন করেন। পরে মন্ত্রীর কাছে বন্ডটি হস্তান্তর করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সর্বজনীন পেনশন তহবিল নামের ব্যাংক হিসাবে পেনশন স্কিমে অংশ নেওয়া সবার জমা দেওয়া অর্থ জমা থাকবে। এই অর্থ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ নিরাপদ ও কম ঝুঁকিপূর্ণ উৎসে বিনিয়োগ করবে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ট্রেজারি বন্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্য লভ্যাংশের ভিত্তিতে পেনশনারের মাসিক অ্যানুয়াটি হিসাব করে একজন পেনশনারের মাসিক পেনশন দেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পেনশন স্কিমে মানুষের অংশগ্রহণ কম হলেও লক্ষ্য পূরণে হবে। এ জন্য প্রচারণা ও সময় দরকার। আমরা সেটা করছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখন ২০ থেকে ২২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। আমাদের সম্পর্কে আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি সব মিলিয়ে সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।

ব্যাংক খাতের সুদ হার ৬ ও ৯ শতাংশ করা সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে সময় আমরা এটা না করলে ব্যাংক খাতকে খুঁজে পাওয়া যেত না। এখন ৬-৯ তুলে দেওয়া হয়েছে, এটাও সময়ের প্রয়োজনে করা হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি বেশি হয়েছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এটা ঠিক করার জন্য সরকার কাজ করছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, সারা বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তারপরও আমরা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা আবারও বলব সারা বিশ্বের অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। আমরা এককভাবে আমাদের অর্থনীতি চালাতে পারি না। সবাই একসঙ্গে মিলেমিশেই এগিয়ে যেতে হবে। অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত