ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আলোচিত ২৮ অক্টোবর

সমাবেশের স্থান নিয়ে অনড় আওয়ামী লীগ-বিএনপি

সমাবেশের স্থান নিয়ে অনড় আওয়ামী লীগ-বিএনপি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামীকাল ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে আদালতের আদেশে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। একই দিনে তিনটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নিয়ে রাজধানীবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সংঘাত বাধতে পারে বলেও ধারণা করছেন অনেকে।

রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সুবিধামতো স্থানে সমাবেশ করতে চাইলেও ঢাকা মহানগর পুলিশ এখনো কোনো দলকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। তবে আজ এব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে পুলিশ। জননিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তা ছেড়ে মাঠে সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে ডিএমপি। তবে রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ সিদ্বান্তে অনড় অবস্থানে রয়েছে। সমাবেশের স্থান নিয়ে এক ধরনের টানাপড়েন দেখা দিয়েছে।

নয়াপল্টনেই অনড় বিএনপি : বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করতে অনড় বিএনপি। যেকোনো মূল্যে মহাসমাবেশ সফল করার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নীতি-নির্ধারণী ফোরামের নেতারা। তারা বলেছেন, মহাসমাবেশের অনুমতির জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করা হবে না। কোনো বাধাই মহাসমাবেশ আটকাতে পারবে না। সারা দেশ থেকেই বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ মহাসমাবেশে যোগ দেবে।

এদিকে, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছাড়া সমাবেশের জন্য বিকল্প দুটি জায়গার নাম চেয়ে পুলিশের পক্ষে থেকে বিএনপিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠির জবাবে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ২৮ অক্টোবরের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনেই আয়োজনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অন্য কোনো ভেন্যুতে যাওয়া সম্ভব হবে না। গতকাল পল্টন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সালাউদ্দিন মিয়া বরাবর পাঠানো বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পাল্টা চিঠিতে এ কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া সাতটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয় চিঠিতে। ডিএমপিকে দেওয়া চিঠিতে বিএনপি আরো জানিয়েছে- সমাবেশ দুপুর ২টায় শুরু হবে এবং মাগরিবের পূর্বে শেষ হবে। সমাবেশে ১ লাখ থেকে সোয়া লাখ লোকের সমাগম হবে। এতে আরো বলা হয়, সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের লোক অংশ নেবে না। সমাবেশে শৃঙ্খলা রক্ষায় নিজস্ব ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া সমাবেশটি পশ্চিমে বিজয়নগর মোড় আর পূর্বে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। সমাবেশ বক্তব্য প্রচারে বিজয় নগর থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত কিছু দূর অন্তর অন্তর মাইক লাগানো হবে। এদিকে মহাসমাবেশ সফল করতে ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি সভা, মতবিনিময়, ঘরোয়া মিটিং করছেন দলটির নেতারা। এসব সভায় গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সমাবেশ পর্যন্ত কৌশলী অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির এক নেতা জানান, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাসমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এবার কোনো আলটিমেটাম দেয়া হবে না। ২৮ তারিখের পর একদিন বা দুই দিনের বিরতি দেয়া হবে। এরপর থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু হবে। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে কর্মসূচির ধরন নির্ধারণ করা হবে। সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি চলবে। তিনি আরো জানান, এবার রাজধানীর পাশাপাশি জেলা শহরগুলোতে কঠোর আন্দোলন হবে। সেভাবে নেতাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, আগামী ৩০ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত ধাপের আন্দোলন শুরু হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও, অবস্থান কর্মসূচি, অবরোধ, হরতাল এমনকি ঢাকা ঘেরাও’র মতো হার্ডলাইনের কর্মসূচি দেয়া হতে পারে।

ঢাকা বিভাগীয় নেতাদের কর্মসূচি সফল করতে এবং সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটাতে কঠোর বার্তা দিয়েছেন বিএনপি’র হাইকমান্ড। ঢাকা বিভাগের জেলাগুলো সর্বোচ্চসংখ্যক লোকসমাগম নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে পরিকল্পনা করছে। তারা প্রতিনিয়তই মতবিনিময় এবং প্রস্তুতি সভা করছে। কারণ, এবার আর ব্যর্থ হতে চায় না ঢাকা বিভাগ। এজন্য তারা ২৮ অক্টোবর সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে মহাসমাবেশে যোগ দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছে। এরই মধ্যে মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা রাজধানীতে আসতে শুরু করেছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি, আমাদের মহাসমাবেশের ভেন্যু দলীয় কার্যালয়ের সামনেই থাকবে। আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও চিঠি দিয়েছে, আমরা তার জবাব দিয়েছি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, সরকারের পতন অনিবার্য। ২৮ অক্টোবর যদি বিএনপি’র সমাবেশে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করা হলে ক্ষমতাসীনরা পালিয়ে রক্ষা পাবে না। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তারা আত্মরক্ষার জন্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত।

বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অনড় আওয়ামী লীগ : ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ উদ্যোগে ২৮ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ’ করতে চায় ক্ষমতাসীন দল। গতকাল এসব তথ্য জানিয়ে দলটির পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত চিঠি পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে পুলিশের পক্ষ থেকে চাওয়া সাত ধরনের তথ্যও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সমাবেশে লোকসমাগম সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হবে। সমাবেশে প্রায় ২ লাখ লোকসমাগম হবে। সমাবেশটি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট থেকে পল্টন মোড়, জিপিও মোড়, শিক্ষা ভবন, গোলাপ শাহ মাজার, নগর ভবন, নবাবপুর সড়ক, মহানগর নাট্যমঞ্চ সড়ক, দৈনিক বাংলা মোড় এবং মতিঝিল সড়ক, স্টেডিয়াম সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। সমাবেশে বক্তব্য প্রচারের জন্য উল্লিখিত স্থানসমূহে মাইক স্থাপন করা হবে। সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী সমর্থক, নারী সংগঠন, তরুণ প্রজন্ম ও সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করবে। সমাবেশে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। ২৮ অক্টোবর শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি (মঞ্চ নির্মাণ ও প্রচার প্রচারণার কার্যক্রম) এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেই আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ হবে বলে সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট, অনলি ওয়ান ভেন্যু আই ম্যানশন। যেটা বলেছি সেটাই। গতকাল দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সৈয়দ আবুল হোসেনের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জানা গেছে, ২৮ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ওই দিন বিএনপিকে কোনোভাবেই নৈরাজ্য করতে দেবে না দলটি। এজন্য ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ঢাকার প্রবেশমুখসহ অলিতে-গলিতে পাহারা বসানোর জন্য দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপির চেয়ে বড় জনসমাগম করার জন্য ঢাকার আশপাশের জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীদের সমাবেশের দিন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে উপস্থিত নিশ্চিত করার জন্য দলটির হাইকমান্ড থেকে দফায় দফায় বৈঠকসহ নানামুখী তৎপরতা চালানো হচ্ছে। মহাসমাবেশের নামে বিএনপি ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বসে পড়তে পারে আওয়ামী লীগ এমনটাই সন্দেহ করছে। আর একবার বসে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকা অচল করে দিয়ে সরকারি স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর ঘেরাও করতে পারে। তাই বিএনপিকে সর্বাত্মকভাবে ঠেকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা। মূল দলের পাশাপশি সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোও ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতি ঘটাবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সমন্বয়কের দায়িত্বে আছেন।

তিনি বলেন, শনিবার ঢাকার রাজপথ আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপিকে ঢাকা অচল করতে দেওয়া হবে না। বিএনপির সঙ্গে কোনো আপস নাই। ২৮ তারিখে নবযাত্রার সূচনা হবে। বিএনপি নেতাকর্মীদের এক সপ্তাহ আগেই ঢাকায় এনে অরাজকতার চেষ্টা করছে। আমরা বিএনপির মতো সারাদেশ থেকে লোক আসতে বলব না। আমরা শুধু ঢাকাবাসী ও ঢাকার আশপাশে যারা রয়েছেন তাদের আসতে বলব। বিএনপি-জামায়াত যেখানেই অপকর্ম করবে সেখানেই প্রতিবাদ, প্রতিরোধ হবে।

জামায়াতে ইসলামী : এদিকে আদালতের আদেশে নিবন্ধন হারানো দল জামায়াতে ইসলামীও শাপলা চত্বরেই সমাবেশ করবে বলে অনড় অবস্থানে রয়েছে। গতকাল দুপুরে ভার্চুয়াল জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ এই মহাসমাবেশে সুশৃঙ্খলভাবে সমবেত হয়ে একদফা দাবি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সরকারের কোনো ধরনের উসকানি, অসাংবিধানিক ও গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতায় দলীয় নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে কোনো সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গত বুধবার সচিবালয়ে এক সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এছাড়া বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা গণতন্ত্র মঞ্চও এদিন সমাবেশ করবে। মৎস্যভবন এলাকায় এই সমাবেশ করবে তারা। একই দিনে বিজয় নগরে সমাবেশ করবে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাই আইনি কাঠামোতে দেওয়া শর্তগুলো যেন তারা অনুসরণ করে। ঢাকা শহরে কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশ কোনো মাঠে করাই শ্রেয়। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে সেটি আমার বলেছিও।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত