পবিত্র ফাতেহা-ই ইয়াজদাহম আজ

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ১১ রবিউস সানি। ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। ‘ইয়াজদাহম’ অর্থ এগারো, আর ‘ফাতিহা’ অর্থ দোয়া করা। আল্লাহর অলি বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর মৃত্যু (ওফাত) দিবস আজ। এ উপলক্ষ্যে মুসলমানদের দোয়া অনুষ্ঠানই হচ্ছে- ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’। ইসলামের অন্যতম প্রচারক আবদুল কাদের জিলানি হিজরি ৫৬১ সনের ১১ রবিউস সানি আবদুল কাদের জিলানি মৃত্যুবরণ করেন। সারা বিশ্বের সব মুসলমান ওই দিনটি ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম হিসেবে পালন করে আসছে। ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম বলা হয়, বড় পীর হজরত আবুদল কাদের জিলানি রহমাতুল্লাহি আলাইহির মৃত্যু দিবসকে। ‘ইয়াজদাহম’ ফার্সি শব্দ। অর্থ এগারো। ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম বলতে এগারোর ফাতিহাকে বোঝায়। ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম বড় পীর আবদুল কাদের জিলানির স্মরণে পালিত হয়। মুসলমানদের কাছে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহাম বেশ তাৎপর্যবহ। বাংলাদেশে এদিন ঐচ্ছিক (মুসলিম পর্ব) ছুটি। মুসলমানদের বিশ্বাস হলো, যেহেতু পৃথিবীতে এখন আর কোনো নবী আসবে না। তাই অলি আউলিয়া ও পীর-বুজুর্গরা মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করবেন। বিভিন্ন যুগে ও সময়ে মানুষ যখন বিপথে চলে গিয়ে নানা ধরনের ভ্রষ্টতায় পতিত হয়েছিল, তখন অলি-আউলিয়ারা মানুষকে আল্লাহর পথের সন্ধান দিয়েছেন। বড় পীর আবদুল কাদের জিলানি ছিলেন একজন অলি। যার নাম মুসলমানরা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকেন। মুসলমানদের ধর্মীয় জীবনে তার প্রভাব অপরিসীম। তার মৃত্যুর পর থেকে বিশ্বের মুসলমানরা ওই দিনটিকে ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমরূপে পালন করে আসছেন। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের প্রায় ৫০০ বছর পর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মের সময় পৃথিবীর অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়। মানুষ ইসলামের আদর্শ ভুলে বিপথে পা বাড়িয়েছিল, ঠিক এমনি সময় হজরত বড় পীর সাহেব ইসলামের পথে মানুষকে ডাক দিয়েছিলেন। হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর বাবার নাম সৈয়দ আবু সালেহ এবং মায়ের নাম বিবি ফাতেমা। হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) ৪৭০ হিজরিতে ইরানের জিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাগদাদের মহান পীর হজরত আবু সাঈদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন মাখরুমি (রহ.)-এর কাছ থেকে মারেফাতের জ্ঞানে পূর্ণতা লাভ করেন এবং খেলাফতপ্রাপ্ত হন। তিনি ছিলেন জাহেরি-বাতেনি উভয়জ্ঞানে জ্ঞানবান। তার জীবনী ও কীর্তিগাথা মুসলমানদের হৃদয়ে চিরদিন জীবন্ত হয়ে থাকবে। একজন আদর্শ পুরুষ হিসেবে বিশ্ব জগতে মুসলমানদের কাছে গাউসুল আজম হজরত বড় পীর আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-কে পরম ভক্তি, শ্রদ্ধার সঙ্গে চিরকাল স্মরণ করবে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা নফল এবাদত, মিলাদ মাহফিল ও দরিদ্রদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন নেক আমলের মধ্যদিয়ে দিনটি অতিবাহিত করবেন।