ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুলিশের শর্ত ভঙ্গ

ফের সহিংসতার পথ বেছে নিল বিএনপি

ফের সহিংসতার পথ বেছে নিল বিএনপি

রাজধানীতে ২০টি শর্তে বিএনপিকে গতকাল মহাসমাবেশের অনুমোদন দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু দলটির নেতাকর্মীরা সেই শর্ত ভঙ্গ করে আবার সহিংসতার পথ বেছে নেয়। পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালায় তারা। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর ও বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে গতকাল রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রাজধানী।

নয়াপল্টনের সমাবেশকে কেন্দ্র করে পরে কাকরাইল, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট এলাকা, পল্টন থেকে বিজয়নগর পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সাংবাদিক ও পুলিশসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়। সমাবেশকেন্দ্রিক পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়েছে। এছাড়া ফকিরাপুল চার রাস্তার মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক পুলিশ কনস্টবল নিহত হন। এই সংঘর্ষে পুলিশের আরো ৪১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল ও রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপিকে ২০টি শর্তে তাদের পছন্দের জায়গা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শর্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, কোনোক্রমেই দুপুর ১২টার আগে জনসমাগম করা যাবে না, নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে, রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনসমূহ কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না এবং আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়- এমন কার্যকলাপ করা যাবে না। বিএনপি এসব শর্ত কোনোটি মান্য করেনি।

কমলাপুরে বাসে আগুন, ডিপো ভাঙচুর : সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পল্টন-কাকরাইল-বিজয়নগর এলাকা। সংঘর্ষের জেরে রাজধানীর কমলাপুরে বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বিকালে বাসে অগ্নিসংযোগের এ ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ করপোরেশনের আন্তর্জাতিক বাস ডিপো অফিস, কমলাপুর মোড়ের পুলিশ বক্স, ঢাকা দক্ষিণ সিটির আবর্জনা ব্যবস্থাপনা অফিসসহ একাধিক স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি কর্মীরা কাকরাইল, শান্তিনগর ও মালিবাগ এলাকায় বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করে। তারা রাজারবাগ এলাকায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সামনে অগ্নিসংযোগ, কাকরাইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার প্রধান হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সরকারি স্থাপনা ও সম্পত্তিতে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই হাসপাতালেও হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত