ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসছে আজ

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘর্ষের বিষয়ে আজ একটি বৈঠক করবে। ব্রাজিলের স্থায়ী মিশন শনিবার এ ঘোষণা দিয়েছে। ব্রাজিল অক্টোবরে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। ব্রাজিলিয়ান মিশন জানায়, ‘বিকাল ৩টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’ এর আগে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান সম্প্রসারণ করার ঘোষণা দেওয়ার পরে সংযুক্ত আরব আমিরাত এই বৈঠকের জন্য অনুরোধ জানায়।

৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি ভূখণ্ডে আক্রমণ করার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জেরুজালেমের টেম্পল মাউন্টে আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে হামাস তাদের এই আক্রমণ চালায়। হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় সম্পূর্ণ অবরোধ ঘোষণা করে এবং ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ইসরাইলি বাহিনী গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে, এতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। একই সাথে ইসরাইলি লেবানন ও সিরিয়ার কিছু এলাকায় বোমাবর্ষণ শুরু করে। পশ্চিম তীরেও ইসরাইল হামলা চালায়।

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিপুল বিক্ষোভ : ইসরাইলের সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় হামলা জোরদার করার সাথে সাথে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গতকাল শনিবার ফিলিস্তিনিপন্থি হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্রিটেনে মিছিল করেছে। ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ডেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।

গাজায় স্থল বাহিনীকে শক্তিশালী করে যুদ্ধ বাড়িয়ে ইসরাইলের তীব্র হামলায় আরো হাজার হাজার বেসামরিক লোক মারা যাওয়ার আশঙ্কা করে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। ইসরাইলি কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি দল গাজা সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ৪০০ জনকে হত্যা ও ২২০ জনেরও বেশিকে জিম্মি করার পর ইসরাইল তার বোমা হামলা শুরু করে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইলি হামলার পর থেকে ৭ হাজার ৭০৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি শিশু। লন্ডনে টানা তৃতীয় সপ্তাহান্তে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বড় সমাবেশ আয়োজনে অংশগ্রহণ করা বিক্ষোভকারী, ৩৬ বছর বয়সি দানি নাদিরি বলেন, গাজায় সাহায্য পৌঁছানো এবং জিম্মিদের মুক্তির লড়াইয়ে ‘মানবিক বিরতির’ জন্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের আহ্বান যথেষ্ট নয়। নাদিরি জানান ‘পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হওয়া দরকার।’

প্যারিসে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিছিল : গত শনিবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ফ্রান্স জুড়ে সমাবেশে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা প্যারিসে জনসাধারণের অনুমোদনের ভিত্তিতে জারি করা আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে এক বিক্ষোভে যোগ দেয়। পুলিশের বিশাল বাহিনী রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়। ফ্রান্সের অন্যান্য শহরেও বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমেছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী মার্সেইতে ৪ হাজার জন মিছিল করেছে, পুলিশ এই সংখ্যাকে ১ হাজার ৮০০ উল্লেখ করেছে। সুইজারল্যান্ডে ৭ হাজার বিক্ষোভকারী জুরিখে জড়ো হয়।