ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

আজ জাতীয় যুব দিবস

আজ জাতীয় যুব দিবস

জাতীয় যুব দিবস আজ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট যুব সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ‘আমাদের যুবসমাজকে পরিপূর্ণ দক্ষ, আধুনিক ও সচেতনরূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। তিনি বলেন, ‘তাদের অনেকেই আজ সফল আত্মকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এদেশের প্রশিক্ষিত যুবরা বিদেশেও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিয়েছে এবং দেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে যুবসমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে যুবসমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে উন্নীত করার লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন কারিগরি, বৃত্তিমূলক এবং কৃষিভিত্তিক বহুমুখী প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রশিক্ষিত যুবদেরকে জামানতবিহীন যুবঋণ দিয়ে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। যুবদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে প্রবাসেও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।’

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি বছর ১ নভেম্বর জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এতে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান, সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও যুবপণ্যের ডিসপ্লে এবং যুব কার্যক্রমের ওপর ডিজিটাল ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হবে।

সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও থানায় যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- যুব র‌্যালি, যুব পুরস্কার বিতরণ, প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে।

২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এই অগ্রযাত্রায় কাণ্ডারি হবে দেশের যুবসমাজ। যুবকরাই দেশকে উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বিভিন্ন ট্রেডে যুবক ও যুব মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেয়। সময়ের সঙ্গে প্রশিক্ষণে প্রোগ্রামিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো আধুনিক বিষয় যুক্ত হয়েছে। সেই আধুনিকতার হাত ধরে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন যুবকরা। তাই বাংলাদেশের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠীই তরুণ ও যুবক। তারাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত