ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ওবায়দুল কাদের 

শেষ হয়ে গেছে সংলাপের পার্ট

শেষ হয়ে গেছে সংলাপের পার্ট

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের দল। সান্ত্রসীদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। সংলাপের পার্ট শেষ হয়েছে গেছে। দুই দল আবার কে? সংলাপ সন্ত্রাসের সঙ্গে হয় না। বিএনপি সান্ত্রসীদের দল এবার আরো প্রমাণ করেছে। এখন তারা যা করেছে এরপর আর সংলাপের পরিবেশ নাই।

গতকাল ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনির্ধারিত এক বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। বিচারপতির বাসায় হামলা করছে। একজন পুলিশকে তারা হত্যা করেছে। বাসে আগুন দিয়েছে। পুলিশের উপর আক্রমণ, বাসে গাড়ির হেল্পার পুড়িয়ে মারা। পুলিশ হাসপাতালে হামলা। মির্জা ফখরুলসহ কেউ কি এড়াতে পারবে? একজনও এড়াতে পারবে না। তাদের নির্দেশেই এই সন্ত্রাস হয়েছে। কানাডার আদালতও সঠিকভাবেই বলেছে তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডার আদালত যথাযথই বলেছে, এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ফাঁদে ফেলতে গিয়ে বিএনপি নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে। আন্দোলন নিজেরা করছে, নিজেদের আন্দোলন নিজেরাই ভন্ডুল করছে। সেদিন তারা নিজেরাই নিজেদের আন্দোলন বন্ধ করেছে। আমাদের ফাঁদে ফেলতে গিয়ে নিজেরা ফাঁদে পড়েছে। আমীর খসরু আওয়ামী লীগকে কখনো বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেন, কখনো কর্ণফুলীতে ফেলে দেন, আবার কখনো বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেন; এখন নিজে কোথায় গেছেন? খবরই নেই। অবরোধে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় যা কিছু করা দরকার সব করা হবে। যত স্তর দরকার তত স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। সেতুমন্ত্রী বলেন, সেদিন তারা (২৮ অক্টোবর) যে নাটক সাজিয়েছিল, আপনারাই বলুন, এই দল কী না করতে পারে? তারা সেদিন নাটক সাজিয়েছে, সেদিন সরকারের পতন হবে। সরকারের পতনের জন্য বাইডেনের ভুয়া দোস্ত এখানে এনেছে। বাইডেন তো দূরে থাক, তার বাড়ি উল্লাপাড়া! হাসান সারওয়ার্দীর মতো চতুর লোক, যে বারবার সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে, রিটায়ারমেন্টের পর সেনাবাহিনীতে অপপ্রচার, গুজব যারা সৃষ্টি করে তাদের নায়ক হচ্ছে সারওয়ার্দী। তাকে নিয়ে এসেছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার না করার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইচ্ছা করলেই রিজভীকে গ্রেপ্তার করতে পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে কিছু নেতা বাইরে থাক কর্মসূচি দেওয়ার জন্য, না হলে কে কর্মসূচি দেবে?

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত