দেশের সংবিধান বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চেতনার প্রতিফলন

বললেন স্পিকার

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক মুক্তি আনয়নে বঙ্গবন্ধু বদ্ধপরিকর ছিলেন। শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সংবিধান বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক চেতনারই প্রতিফলন। সংবিধান বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনেরই দর্পণ। গতকাল রোববার সুপ্রিমকোর্ট বার মিলনায়তনে ৫২তম সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে একাত্তরের

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ‘১৯৭২-এর সংবিধান : বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের দর্পণ’- শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালি ও বাংলার আপামর মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তা বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধু আজন্ম লড়াই সংগ্রাম করেছেন। শোষণ ও বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গড়াই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূল দর্শন। বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠাকে লালন করেই টুঙ্গিপাড়ার খোকা বঙ্গবন্ধুতে পরিণত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই তার লড়াই সংগ্রাম সার্থক হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে, যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না, যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়’- বঙ্গবন্ধুর এই উদ্ধৃতি উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু মেহনতি মানুষের জন্য এবং ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য নিরসনের জন্য স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্যের হার হ্রাস করেছেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘরহীনদের ৯ লাখ ঘর দিয়েছেন, গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভাতা, বিধবা-বয়স্ক-স্বামী পরিত্যাক্ত ভাতা দিচ্ছেন- ১ কোটি শিক্ষার্থীকে শিক্ষাসহায়ক ভাতা দিচ্ছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দরিদ্রদের স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করছেন।’ ‘সংবিধানের চেতনা সমুন্নত রাখতে, প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিককে নিবেদিত হতে হবে। নতুন প্রজন্মকে একটি স্মার্ট ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনে সংবিধানের আদর্শ ও দর্শন ধারণ করতে হবে।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আজাহার উল্লাহ ভুইয়া। অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. মোখলেসুর রহমান বাদল, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, পোল্যান্ডের নেভার অ্যাগেইন সংগঠনের সভাপতি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রাফাল প্যানকোভোস্কি ও সদস্য নাটালিয়া সিনায়েভা প্যানকোভস্কা বক্তব্য রাখেন। এ অনুষ্ঠানে সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী, আমন্ত্রিত অতিথি ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।