সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান শেখ হাসিনার

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

হরতাল ও অবরোধের নামে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা যেন কোনো মতেই থেমে না যায়। আজকে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার। সুষ্ঠুভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য। গতকাল সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে নানা দিক থেকে চক্রান্ত হচ্ছে। চক্রান্ত করেই চেষ্টা হচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা করে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। সব দিক থেকে চেষ্টা হচ্ছে। এরই মধ্যে আমাদের সবাইকে এক হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের শক্তি দেশবাসী। বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যখন শান্তিতে, তখন এই বিএনপি আবার রাস্তায় নেমেছে অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে। এই অশান্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পর পর তিনবার ক্ষমতায়, সাধারণত ক্ষমতায় থাকলে জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যায় অথবা জনপ্রিয়তা কমে। আওয়ামী লীগের কিন্তু জনপ্রিয়তা কমেনি। ৭০ শতাংশ মানুষ আমাদের ওপর নির্ভরতা (আস্থা) রাখে। তারা মনে করে, আওয়ামী লীগ থাকলে আমাদের কল্যাণ হবে, মঙ্গল হবে। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে এটাই দলটির কার্যনিবাহী সংসদের শেষ সভা। জানা গেছে, সভায় নির্বাচন ও বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ দিকনিদের্শনা দিয়েছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের কৌশল ও প্রস্তুতির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে এ সভা থেকে। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের নির্বাচন সফল করতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও নির্বাচনি উপকমিটি গঠন, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন মোকাবিলায় কৌশল নির্ধারণ, দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা, আন্তর্জাতিক চাপ এবং আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলের নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়নের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এছাড়া যাদের দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাদের পক্ষে কাজ করে নৌকাকে বিজয়ী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচারের দিনক্ষণও চূড়ান্ত করারও সিদ্ধান্ত এসেছে। এর বাইরে দিবসভিত্তিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বৈঠকে। এর মধ্যে রয়েছে ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন। এর আগে গত ১২ আগস্ট আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।