খুলনায় আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে মহানগরীতে বসানো হচ্ছে ২০টি ডিজিটাল স্ক্রিন, যা জনসভা এলাকার চারদিকে বসানো হচ্ছে। জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কয়েক দিন ধরেই চলছে মাইকিং, পোস্টারিং, আলোকসজ্জা, প্রচার মিছিল, প্ল্যাকার্ড, বিলবোর্ড ও তোরণ নির্মাণ। গোটা নগরীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। পাশাপাশি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে এ নগরীকে। দুপুর ২টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেবেন।
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন ‘১০ লক্ষাধিক লোকের উপস্থিতির মাধ্যমে সমগ্র মহানগরীকে জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। সে কারণে শহরের শিববাড়ী, হাজী মহসিন রোড, কাস্টমস ঘাটসহ জনগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ২০টি ডিজিটাল স্ক্রিন বসানো হয়েছে। যাতে এসব স্থান থেকে জনতা প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি দেখার সুযোগ পান ও তার কথা শুনতে পারেন।’ নগরীতে নির্মাণ করা হয়েছে দুই শতাধিক তোরণ। সমাবেশের সার্কিট হাউজ মাঠে থাকবেন নারী কর্মীরা। আর পুরুষ নেতাকর্মীরা থাকবেন মাঠের চারপাশের সড়কগুলোতে। মাঠ ছাড়াও নগরীর কাস্টমস ঘাট থেকে শিববাড়ী মোড়, জেলখানা ঘাট, সদর থানার মোড়, হাদিস পার্ক ও হাজী মুহসীন রোডে মাইক দেওয়া হবে।
বাগেরহাট, রূপসা ঘাটে পাঁচটি ফেরি থাকবে। আর নারী কর্মীদের বহনকারী বাস নগরীর নতুন বাজার পর্যন্ত আসবে। এছাড়া জেলখানা ঘাটে তিন থেকে চারটি ফেরি দেওয়া হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহের নেতাকর্মীদের জন্য একটি স্পেশাল ট্রেন খুলনায় যাবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করবে। সার্কিট হাউজ মাঠ ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। গোটা নগরী নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে। জনসভাস্থলে আসা এবং জনসভা শেষে যাতে লোকজন নির্বিঘ্নে ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
