ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আ. লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি

কো-চেয়ারম্যান হলেন কাজী জাফরউল্লাহ

কো-চেয়ারম্যান হলেন কাজী জাফরউল্লাহ

নানান জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আমলাদের পেছনে ফেলে এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ। গতকাল বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় এ তথ্য জানান দলের সভাপতি ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা এবং সভা পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সদস্য সচিব করে গঠিত দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া আরো ১৫টি উপ-কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকার ট্রাকস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ভবনে অফিস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রয়াত এইচ টি ইমামের কক্ষে বসা শুরু করেন সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। এইচ টি ইমামের কক্ষে বসার পর কবির বিন আনোয়ার দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হচ্ছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত। তবে এখন পর্যন্ত দলের হাইকমান্ড কবির বিন আনোয়ারকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি। এইচ টি ইমাম ২০২১ সালের ৪ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। ওই সময় থেকে এই পদে আর কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানাবিধ কাজে ব্যস্ত থাকেন। তিনি সারা দেশের নির্বাচনি প্রচারাভিযানসহ সাংগঠনিক বিষয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। দলীয় সাধারণ সম্পাদকও নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নানামুখী ব্যবস্তায় সম্পৃক্ত থাকেন। তাই জাতীয় নির্বাচনকালীন সময় কো-চেয়ারম্যানের পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যিনি সারা দেশে নির্বাচনের অবস্থান পর্যবেক্ষণ, তদারকি, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনাসহ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মুখোমুখি হওয়াসহ নানাবিধ কাজে জড়িত থাকেন।

১৯৯৬ সালে নির্বাচনের আগে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান পদটি আলোচনায় আসে। সেসময় সাবেক সচিব ও কূটনীতিক শাহ এএমএস কিবরিয়াকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ওই নির্বাচনে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ছিলেন শাহ এএমএস কিবরিয়া। অবশ্য সেবার তিনি নিজেও প্রার্থী হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়।

শাহ এএমএস কিবরিয়ার মৃত্যুর পর এইচ টি ইমামকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। ২০০৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কো-চেয়ারম্যান হিসেবে এইচ টি ইমাম দায়িত্ব পালন করেন। তবে তার মৃত্যুর পর এই পদটি এতদিন শূন্য ছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত