ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শ্রমিকদের গ্রেপ্তার হয়রানি বন্ধসহ আট দাবি

শ্রমিকদের গ্রেপ্তার হয়রানি বন্ধসহ আট দাবি

গণহারে শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের গ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘গার্মেন্টস শ্রমিক প্রতিবাদী’ মানববন্ধনে এসব দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।

মানববন্ধনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি ও আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘চলমান মজুরি আন্দোলনে আমাদের ওপর সব ধরনের হামলা করা হয়েছে। হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার হয়রানি থেকে শুরু করে শ্রমিকদের হত্যা করা হয়েছে। আমাদের শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের মজুরি বাড়েনি। বাংলাদেশের শ্রম আইনে লেখা আছে, যে সংগঠনে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক থাকবে তারা মজুরি নির্ধারণের বোর্ডে থাকবে। অথচ গত মাসে মজুরি নির্ধারণী বোর্ডের সভায় শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের রাখা হয়নি। সরকার এমন একজনকে প্রতিনিধি হিসেবে নিয়েছেন, যিনি কোনো শ্রমিককে প্রতিনিধিত্ব করেন না। যিনি শ্রমিকদের কষ্ট বোঝেন না। আমাদের শ্রমিক হত্যার সঠিক বিচার করতে হবে। গ্রেপ্তারদের মুক্তি দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে গার্মেন্টস শিল্পে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে না আনলে তার দায়-দায়িত্ব গার্মেন্ট মালিকদের এবং সরকারকে বহন করতে হবে। একই সঙ্গে গার্মেন্ট শিল্প আন্তর্জাতিকভাবে তার সুনাম হারাবে। যার মাশুল দিতে হবে পুরো বাংলাদেশকে।’ এ সময় চলমান মজুরি আন্দোলনে শ্রমিকদের ওপর হয়রানির চিত্র তুলে ধরে একতা গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুক হাসান বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের চার শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১৫ জনকে।’ মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

তাদের দাবিগুলো হলো- গণহারে শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে; সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং গ্রেপ্তার নেতা ও শ্রমিকদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে; ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রাখা কারখানার শ্রমিকদের পূর্ণ মজুরি দিতে হবে, এজন্য কোনো শ্রমিকের মজুরি কম দেওয়া যাবে না; বন্ধ কারখানা অবিলম্বে খুলে দিতে হবে; কোনো শ্রমিককে কালো তালিকাভুক্ত করা যাবে না; যেসব শ্রমিক আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে হবে এবং যেসব শ্রমিক নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে লস অব ইয়ার আর্নিং হিসেবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; চার শ্রমিক হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দায়ীদের গ্রেপ্তার-বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুসারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং ঘোষিত মজুরি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। মানববন্ধনে আরো ছিলেন একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সীমা আক্তার, দপ্তর সম্পাদক লোকমান আলী, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত