ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কুমিল্লায় ইসি আনিছুর রহমান

সময়মতো নির্বাচন না করলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে

সময়মতো নির্বাচন না করলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনে কে আসল কে আসল না, এটা আমাদের বিষয় নয়। কেউ আসলে আসল, না আসলে কাউকে আনার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা চিঠি দিয়েছি। আমাদের নিবন্ধিত ৪৪টি দল আছে। নির্বাচনে আসা না আসা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। তবে বড় দল নির্বাচনে এলে এখনো বিবেচনার সুযোগ আছে। সময়মতো নির্বাচন না করলে ফাইনালি সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গতকাল দুপুরে কুমিল্লা সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপশিল পেছানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনছি এমন কথা। যদি তারা পর্দার অন্তরালে আলাপ-আলোচনা বা জোটবদ্ধ হয় তাহলে বিষয়টি (তপশিল) পেছানোর সুযোগ আছে। আমাদের এক নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, বড় রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে আসলে তপশিল পেছানো নিয়ে সংবিধানে সুযোগ আছে। তবে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না হলে সংবিধানে একটি শূন্যতা তৈরি হবে। তবে নির্বাচন কমিশনের কাজ নির্বাচন করা। নির্বাচন না করলে ফাইনালি সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হবে। কেউ নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন থেকে পিছু যাওয়ার সুযোগ নেই।

নির্বাচন নির্বাচনের গতিতে হবে। সময়মতো নির্বাচন হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে কত পারসেন্ট লোক ভোট দিল, এটা বিবেচ্য বিষয় নয়। আইনে ও সংবিধানেও বলা নেই, কত পারসেন্ট ভোট পড়তে হবে। সর্বোচ্চ ভোট যিনি পাবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। নির্বাচন কমিশনের কাজ নির্বাচন করা। তিনি বলেন, আমরা পূর্বে থেকে আহ্বান করে যাচ্ছি নির্বাচনে সবাই আসুক। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অচলাবস্থা নেই, বাধা নেই। হরতাল-অবরোধেও নির্বাচনি কাজ চলছে। তিনি বলেন, প্রশাসনের মাঠপর্যায়ের কর্মীরা এখন যারা আছেন, তারা বেশি দিন হয়নি কর্মস্থলে আছেন। নির্বাচনে কেউ অনিয়ম করলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে, এর আগে নয়।

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির প্রশ্নে জামালপুরের ডিসির ভাইরাল হওয়া বক্তব্য উল্লেখ করে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনে রদবদলের প্রয়োজন পড়লে করা হবে। তখন প্রশাসন আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমরা তবুও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ওই ডিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রশাসন এখন আমাদের। সুতরাং প্রয়োজন পড়লে আমরা প্রশাসনেও রদবদল আনতে পারি।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন ও চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। এছাড়া সভায় কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত