ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মারুফা আক্তার পপিকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন

মারুফা আক্তার পপিকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী মারুফা আক্তার পপিকে লাঞ্ছনা করার প্রতিবাদে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকাস্থ জামালপুর সদর উপজেলাবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।

নান্দিনা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সম্রাট আকন্দের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য সৈকত চৌধুরীর সঞ্চলনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সুমন, নুরুন্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ তারা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য বাবর উদ্দিন সাগর।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ সুমন বলেন, মারুফা আক্তার পপি একদিনে তৈরি হয়নি। সেই ’৯৫ সাল থেকে তাকে চিনি। তাকে একটা অনুষ্ঠানে লাঞ্ছিত করা হলো কেন? আমরা সবাইকে সম্মান করি কিন্তু পপি আপার এই অসম্মান কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনা। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর আপনারা একে অন্যের সাথে এমন আচরণ করছেন। নেত্রী কাউকে এমন শিক্ষা দেননি।

মির্জা আজমকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, আপনাদের কাছ থেকে আমরা কী শিখব। আমরা কি মানুষকে অত্যাচার করব? মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করব? এ বিষয়ে তিনি শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মাননীয় নেত্রী আপনি বিষয়টি দেখবেন। ভবিষ্যতে যাতে কোনো নেতা অন্য কোনো নেতার সাথে এমন আচরণ না করেন।

আবু সাঈদ তারা বলেন, মারুফা আক্তার পপিকে অপমান করায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মারুফা আক্তার পপি জামালপুর সদরের নান্দিনা কলেজ থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করে আজ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা হয়েছেন। দুঃসময়ে ছাত্রলীগের হাল ধরে বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা তার অপমানের বিচার চাই এবং তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চাই।

সভাপতির বক্তব্যে সম্রাট আকন্দ বলেন, ’৯১ সালে নৌকা পরাজিত করার বক্তব্য দিয়ে মির্জা আজম সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। ২০১৬ সালে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে তিনি সরাসরি ভূমিকা রেখেছিলেন, তখন গণমাধ্যমে খবর হয়েছিল ‘মির্জা আজমের প্রার্থী বনাম শেখ হাসিনার প্রার্থী। তিনি বলেন, আমরা জামালপুর সদর উপজেলাবাসী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে মারুফা আক্তার পপির এই অপমান মানব না।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মাননীয় নেত্রী আপনি এর বিচার করবেন। এটা আমাদের প্রত্যাশা। প্রয়োজনে পরবর্তীতে আরো আন্দোলন কর্মসূচি আসবে বলে জানান সম্রাট আকন্দ। গেল ২০ নভেম্বর দুপুরে স্থানীয় মির্জা আজম অডিটরিয়ামে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী মারুফা আক্তার পপি সাথে লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য মির্জা আজম।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সদর আসনে সম্ভাব্য আটজন প্রার্থীর মধ্যে এমপি প্রার্থী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের পক্ষে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত