ভোটার উপস্থিতিটা কার জন্য? প্রার্থীর জন্য? তাই প্রার্থীর দায়িত্ব ভোটার উপস্থিতি করানো, আমাদের খুশি-অখুশির বিষয় না। একটা হচ্ছে লিগ্যালিটি আরেকটা হচ্ছে লেজিটিমিসি। অল্প ভোটেও লিগ্যাল একজন এমপি হবে। পারসেপশনে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে তবে আইনগত ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলে সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবিব খান।
গতকাল ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পাঁচ জেলা (ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও মেহেরপুর) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ডিসি, এসপি, নির্বাচন কর্মকর্তা, ইউএনও এবং ওসিসহ সকলের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। নির্বাচনি ও আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি বিভিন্ন দিকনির্দেশা দেন। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশনার সাংবাদিকদের আরো বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসার চেষ্টা করেছি। অনেকেই আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আর যারা দেননি তাদের আমরা আনুষ্ঠানিকতা বাদেও অনানুষ্ঠানিকভাবেও আলোচনার আহ্বান জানিয়েছি। আমরা বারবার বলেছি, আসুন কথা বলি।
তিনি আরো জানান, যারাই আমাদের কাছে এসেছে যেমন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ, অ্যামবাসেডর হোক তাদেরকে আমরা প্রশ্ন করেছি যে আমরা যে ২১ মাসে ১ হাজার ৩০০ নির্বাচন করেছি, আপনাদের অবজারভেশন কি? তাদের কোনো অবজারভেশন নেই। আরো কি করলে ভালো হয় তাও তারা কোনো কথা বলে না। তারা জানে যে, আমরা সাংবিধানিক পদে আছি। সংবিধানের সুরক্ষায় নির্বাচন করাটা জরুরি।
সবশেষ তিনি বলেন, নির্বাচনে কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ কেমন হবে, সে ব্যাপারে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব যে, ভোটারদের আসা-যাওয়া রুটগুলো কীভাবে সুরক্ষিত করা যায়।
