গাজা হাসপাতালের পরিচালককে নিয়ে উদ্বেগ

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালকের ভাগ্য নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হামাস যোদ্ধারা এই হাসপাতালের আত্মগোপনে আছে- এই অভিযোগে ইসরাইলি বাহিনী তাকে আটক করেছে। ডব্লিওএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় হাসপাতালের প্রধানকে গত বুধবার অন্য পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্মীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ সময় তারা রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের মিশনে অংশ নিয়েছিল।

ডব্লিওএইচও বলেছে, ‘ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির তিন চিকিৎসা কর্মী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তিনজনকে আটক করা হয়েছে।’

সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, তারপর থেকে ছয়জনের মধ্যে দুজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ‘আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালকসহ বাকি চার স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থা সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’ জাতিসংঘের সংস্থাটি ‘তাদের আটকের সময় আইনি ও মানবাধিকার সম্পূর্ণভাবে পালন করার’ আহ্বান জানিয়েছে।

গতকাল ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ডোরন স্পিলম্যান বলেন, ‘সে কী করে জানত না কী ঘটছে? আমাদের কাছে জিম্মি রয়েছে। আপনি জানেন তার হাসপাতালে সিসিটিভি রয়েছে।’

৭ অক্টোবর হামাস যোদ্বারা হামলার পর ইসরাইলি স্থল আক্রমণের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু আল-শিফার অভ্যন্তরে পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রায়ই আবু সালমিয়াকে উদ্ধৃত করেছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, হামাস যোদ্ধারা গাজা শহরের সুবিধার নিচে একটি টানেল কমপ্লেক্স ব্যবহার করে হামলা চালায়। হামাস এবং হাসপাতালের কর্মকর্তারা বারবার এ দাবি অস্বীকার করেছেন।

ডব্লিওএইচও এক সপ্তাহের ব্যবধানে আল-শিফায় তিনটি মিশন চালিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, একবারের চেষ্টায় হাসপাতাল থেকে ৩১টি শিশুকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ডব্লিওএইচও জানায়, বুধবার ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় পরিচালিত তৃতীয় মিশনের সময় রোগী তাদের আত্মীয়স্বজন এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীসহ ১৫১ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।