ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিলেট-১০ নম্বর কূপে গ্যাস মিলছে

সিলেট-১০ নম্বর কূপে গ্যাস মিলছে

সারা দেশে দিনে দিনে গ্যাসের চাহিদা বাড়ছে। এই চাহিদা মেটাতে আমদানির পাশাপাশি নিজস্ব গ্যাসের কূপের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে এর মধ্যেই সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে গ্যাস পাওয়া গেছে। এ কূপ থেকে প্রতিদিন ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট গ্যাসক্ষেত্রে খুবই হাইপ্রেশার, প্রায় ৩৪০০ পিএসআই প্রেসার। আশা করছি- এ কূপের গ্যাস সিস্টেমে আনতে ৭ মাস লাগবে, কারণ আমাদের হাইপ্রেসার লাইন বানাতে হবে। তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ৬০০ এমএমসিএফ গ্যাসের মধ্যে এ কূপটাও ছিল। এই পর্যন্ত গত ৮ মাসে প্রায় ১০০ এমএমসিএফ গ্যাস নতুনভাবে আনার ব্যবস্থা করেছি। ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে আরো ৫০০ এমএমসিএফ গ্যাস সিস্টেমে দিতে পারব।

জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট গ্যাসক্ষেত্রটি আমাদের জন্য বিরাট সুখবর। বিশেষ করে ভোলা, বিয়ানীবাজার, সিলেট-১০, সবই আমাদের আবিষ্কৃত গ্যাস। সব মিলিয়ে প্রায় ৪৬টি কূপ দুই বছরের মধ্যে খনন করতে যাচ্ছি। এগুলো খনন শেষ হলে আমাদের সিস্টেমে প্রায় ৬০০ এমএমসিএফ গ্যাস প্রবেশ করবে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অর্থনৈতিকভাবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আগের চেয়ে গ্যাস কিছুটা হ্রাস পাবে। অন্যদিকে নতুন আবিষ্কৃত গ্যাস আবার যোগ হবে।

কৈলাশটিলা-২ কূপ থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ এমএমসিএফ গ্যাস পাওয়া যাবে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, এখনকার গ্যাস মূল্য যদি ধরি, সেটার মূল্য প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আমরা যদি এলএনজির মূল্যের সঙ্গে তুলনা করি, তবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার গ্যাস। ওখানকার গ্যাসটা আমরা মূলত এ বছরের শেষ নাগাদ, ডিসেম্বর মাসে আমাদের ফিজিবিলিটির রিপোর্ট দিয়ে দেবে কনসালটেন্ট। সেখান থেকে আমরা পাইপ নির্মাণ করে বরিশাল হয়ে খুলনাতে নিয়ে যাব। সেটা করতেও আমাদের প্রায় আড়াই বছর লাগবে। ভোলায়ও আমরা আশাবাদী। একটা ভালো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এটা দ্রুততার সঙ্গে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করব। গ্যাসের পর প্রসেস প্ল্যান করতে হবে জানিয়ে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রসেস প্ল্যানের পর আমাদের গ্যাস সার্ভে করতে হবে। পাইপলাইন ও প্রসেস প্ল্যান সমান্তরালে কাজ করলে বছর দুয়েক সময় লাগবে। গ্যাসের চাহিদার সঙ্গে সরবরাহ নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা মাফিক এগোচ্ছি। আগামী ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ৬০০ এমএমসিএফ গ্যাস নতুন করে সংযোজন করতে পারবেন বলে মনে করছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত