ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তারেক রহমানের নির্দেশনায় ভোটে গেল না বিএনপি

তারেক রহমানের নির্দেশনায় ভোটে গেল না বিএনপি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন প্রবাসী তারেক রহমানের নির্দেশনায় ভোট বর্জন করেছে দলটি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণায় অটল রয়েছে বিএনপি। গতকাল ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বার বার বিএনপিকে ভোটমুখী হওয়ার আহ্বান জানালেও তাতে কোনো সাড়া দেয়নি দলটির শীর্ষ নেতারা। ভোট বর্জনের ফলে পুনরায় সংসদের বাইরে থাকতে হবে রাজপথের এই বিরোধী রাজনৈতিক দলটিকে। ২০১৪ সালে নির্বাচনে না গিয়ে ভোট প্রতিহত করতে বিএনপি দেশব্যাপী আগুন সন্ত্রাস চালায়। আর ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি ৭টি আসন পায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি দল অংশগ্রহণ করলেও বিএনপি শেষ পর্যন্ত অংশগ্রহণ করল না। এর আগে গত ১২ জুলাই নয়াপল্টনে সমাবেশ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের একদফা দাবি ঘোষণা করে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে একাধিকার স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গেও দফায় দফায় আলোচনা করে দলের হাইকমান্ড। এসব বৈঠক ও আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তারেক রহমানের নির্দেশনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদ জাতীয় নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত অংশ নিলো না রাজপথের এই বিরোধী দলটি। তবে একদফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ১২ জুলাই একদফা ঘোষণার বক্তব্যের শুরুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ‘একদফা ঘোষণা আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হিসেবে দিচ্ছি না, এই ঘোষণা তারেক রহমানের পক্ষ থেকে। রাজনৈতিক দলগুলো যুগপৎভাবে সরকারের হাত থেকে জনগণকে মুক্ত করতে চায়। ১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিএনপি ১৮ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশে পদযাত্রা করে। এরপর ঢাকা ও ঢাকার বাইরে একাধিক সমাবেশসহ নানা আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে দলটি। সবশেষ ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। ওই মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালন করে দলটি। এরপর থেকে দফায় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে রাজপথের বিরোধী এই দলটি। মাঝে তপশিল ঘোষণার পর দুই দিনের হরতাল পালন করে। সবশেষ অষ্টম দফায় ১ দিনের অবরোধ ও সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। আবারও আগামী রোববার থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমাদের আন্দোলন বিজয়ের পথে ধাবিত হচ্ছে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ভোট বর্জন করে বিএনপি। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোটে কারচুপির অভিযোগ তোলে দলটি। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের একদফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে দলটি। ২০১৪ সালের মতো ২০২৪ সালের ভোটও বর্জন করল বিএনপি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত