ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন

কাল শেষ হচ্ছে যাছাই-বাছাই ভোটে অংশ নিচ্ছে ২৯ দল

কাল শেষ হচ্ছে যাছাই-বাছাই ভোটে অংশ নিচ্ছে ২৯ দল

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ২৯টি নিবন্ধিত দল এবং স্বতন্ত্র মিলে মোট ২ হাজার ৭১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই আগামীকাল সোমবার শেষ হচ্ছে। এরপর প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্ববর। পরের দিন ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নামবে প্রার্থীরা। এর আগে কোনো প্রার্থী প্রচারণায় নামলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি সূত্র জানায়, আচরণবিধি অনুযায়ী ২১ দিন পূর্বে (ভোটগ্রহণের) কোনো প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের জন্য প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর তারিখের পূর্বে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে এর পূর্বে কোনো নির্বাচনি এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনি প্রচারণারও সুযোগ নেই।

ইসি জানায়, রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণবিধির অর্থে প্রার্থী নন। নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ হবে একটি নির্বাচনি এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ করে প্রচারণার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থীদের সবাই সমভাবে একেকজন প্রার্থী হবেন। ওই সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণবিধিমালা প্রযোজ্য হবে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, এবার নিবন্ধিত ৪৪টি দলের মধ্যে ভোটে এসেছে ২৯টি। গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমার সময় শেষ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ৩০টি দলের পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার তথ্য জানানো হয়। তবে সেটা ছিল তাৎক্ষণিক হিসাব। এখন চূড়ান্তভাবে জানা গেছে এবার নির্বাচনে ২৯টি নিবন্ধিত দল অংশ নিচ্ছে। জানা যায়, আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিলেও নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মেহেরপুর-১, জামালপুর-৫, ময়মনসিংহ-৩, মানিকগঞ্জ-২ ও চট্টগ্রাম-৪, এই পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের পরিচয়ে দুটি করে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।

এছাড়া ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের দুজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরই মধ্যে শাহজাহান ওমরকে নৌকা বরাদ্দের জন্য বলা হয়েছে। এই আসনে এর আগে মনোনয়ন পাওয়া বজলুল হক হারুন নৌকা চেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। জাতীয় পার্টি এবার ২৮৮টি আসনে মনোনয়ন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ১৬টি আসনে দুজন করে প্রার্থিতা জমা দিয়েছেন। এই দলের পক্ষেও মনোনয়ন জমা পড়েছে ৩০৪টি। তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রার্থী দিয়েছে জাকের পার্টি। তারা ২১৮টি আসনে মনোনয়ন দিতে সক্ষম হয়েছে। নতুন নিবন্ধিত আলোচিত দল তৃণমূল বিএনপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিলেও শেষমেশ তারা অর্ধেক আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। নতুন নিবন্ধিত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পেরেছে। প্রথম নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি একতারা মার্কায় ৮২ জন প্রার্থী দিতে পেরেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এবার মোট প্রার্থীর এক-চতুর্থাংশই স্বতন্ত্র। আর প্রতি আসনে গড়ে প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। যে ২৯টি নিবন্ধিত দল অংশ নিচ্ছে সেগুলো হচ্ছে- আওয়ামী লীগ (নৌকা), জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল), জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল), তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেস (ডাব), জাসদ (মশাল), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (একতারা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ (টেলিভিশন), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম (নোঙ্গর), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (ফুলের মালা), ইসলামী ঐক্যজোট (মিনার), ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট (মোমবাতি), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি), গণফ্রন্ট (মাছ), জাতীয় পার্টি-জেপি (বাই সাইকেল), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ), বিকল্প ধারা বাংলাদেশ (কুলা), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল), গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর), গণফোরাম (উদীয়মান সূর্য), বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (চাকা), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (কুঁড়েঘর), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাত পাঞ্জা), ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত