ঢাকা ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘বিধিমালা প্রয়োগে নির্লিপ্ততা’

অবস্থান পরিষ্কার করল ইসি

অবস্থান পরিষ্কার করল ইসি

‘নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা প্রয়োগে নির্লিপ্ত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন’ গণমাধ্যমে বিশিষ্টজনদের দেওয়া এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসি। সংস্থাটি বলছে, টকশো ও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বিশিষ্টজনদের এমন বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। এজন্য নির্বাচন কমিশনের আইন ও বিধির প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

গতকাল নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসির প্রকৃত অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ টকশোতে বা পত্রপত্রিকায় মন্তব্য করছেন, নির্বাচন কমিশন আচরণ বিধিমালার প্রয়োগ বিষয়ে নির্লিপ্ত। গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা-বিনয়ের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়। এ কারণে আইন ও বিধির প্রকৃত অবস্থান প্রকাশ করা হলো। সংস্থাটি জানায়, জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনে প্রচারণা বিষয়ে আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজনৈতিক প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ নামে একটি সংবিধিবদ্ধ বিধিমালা রয়েছে। এই বিধিমালার ৫নং বিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল, মনোনীত প্রার্থী কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিধিমালার ৬ থেকে ১৪নং বিধিতে বর্ণিত নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। প্রার্থী দলের পক্ষে মনোনীত প্রার্থী হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন।

বিধিমালার ১২নং বিধিতে ২১ দিন আগের কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য ২১ দিনের বেশি সময় পাবেন না। বিধিমালার বিষয়ে ইসি আরো জানায়, রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণবিধির অর্থে প্রার্থী নন।

নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ হবে রিটার্নিং অফিসার বাছাই, আপিলের সিদ্ধান্ত ইত্যাদি সম্পন্ন করে কোনো একটি নির্বাচনি এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে প্রচারণার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন ওই নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থীদের সবাই সমভাবে একেকজন প্রার্থী হবেন। সে সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে। আচরণ প্রতিপালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ১২নং বিধিতে ২১ দিন আগে কোনো প্রার্থীর দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের জন্য প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর তারিখের আগে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে আগে কোনো নির্বাচনি এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনি প্রচারণারও সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত